অজিত পওয়ার এবং শরদ পওয়ার। — ফাইল চিত্র।
এনসিপিতে ভাঙন ঘিরে কাকা শরদ পওয়ারের সঙ্গে ভাইপো অজিতের সংঘাত নতুন মোড় নিল। বিধায়কদের সমর্থনের বিষয়ে অজিত গোষ্ঠী জাল হলফনামা দাখিল করেছে বলে সোমবার শরদ শিবিরের তরফে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। সোমবার কমিশনে এ সংক্রান্ত শুনানির পরে শরদ গোষ্ঠীর আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, ‘‘আমরা কমিশনের কাছে বিধায়কদের সমর্থনের বিষয়ে হলফনামা জালের প্রমাণ দিয়েছি এবং অজিত শিবিরের বিরুদ্ধে শাস্তমূলক পদক্ষেপ দাবি করেছি।’’
গত ২ জুলাই এনসিপিতে পটপরিবর্তন মহারাষ্ট্র রাজনীতিতে বদলে দিয়েছে বেশ কয়েকটি সমীকরণ। অজিত-সহ ন’জন বিদ্রোহী এনসিপি বিধায়কের মন্ত্রিত্ব এবং ভাল দফতর লাভের পরে এনডিএর অন্দরে ক্রমশ তাঁর শিবিরের পাল্লা ভারী হচ্ছে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করেছেন। এই পরিস্থিতিতে কাকা শরদ ফের বিদ্রোহী ভাইপোর সঙ্গে সমঝোতার পথে হাঁটতে পারেন বলে মহারাষ্ট্রের বিজেপি বিরোধী জোট ‘মহা বিকাশ আঘাড়ী’র অন্য দুই শরিক কংগ্রেস এবং শিবসেনা(উদ্ধব)-এর নেতাদের একাংশের আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সোমবার শরদগোষ্ঠীর পদক্ষেপে দু’শিবিরের দূরত্ব আরও বাড়ল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।
নির্বাচন কমিশনের কাছে অজিত গোষ্ঠী এনসিপির পতাকা ও নির্বাচনী প্রতীক ব্যবহারের অধিকার দাবি করার পরে পাল্টা কমিশনের কাছে একটি হলফনামা দিয়ে ক্যাভিয়েট দাখিল করেছিল শরদ গোষ্ঠী। গত ১৬ অগস্ট নির্বাচন কমিশন দু’পক্ষকে দাবির সপক্ষে তথ্যপ্রমাণ-সহ বক্তব্য পেশের জন্য তিন সপ্তাহ সময় দিয়েছিল। বিষয়টি এখন কমিশনের বিচারাধীন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সম্প্রতি শরদ দাবি করেছিলেন, এনসিপি-র প্রতীক ঘড়ি চিহ্ন কেড়ে নেওয়া হলেও চিন্তার কিছু নেই। তাঁর যুক্তি, ভোটাররা দলের প্রতীক দেখে ভোট দেন না। দিল্লিতে দলের সর্বভারতীয় কর্মসমিতির সভায় শরদ বলেছিলেন, ‘‘আমি কখনও গাই-বাছুর, কখনও হাত, কখনও ঘড়ি চিহ্নে ভোটে লড়েছি। তাতে জিততে অসুবিধা হয়নি।’’