বিবিসি-র তৈরি তথ্যচিত্রের প্রথম দুটি ভাগে ‘ইন্ডিয়া— দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’-এ ২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গার কথা তুলে ধরা হয়েছে। ফাইল চিত্র।
গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তথ্যচিত্র তৈরি করেছে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (বিবিসি)। সেই তথ্যচিত্র দেখানো নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এ বার সেই ‘বিতর্কিত’ তথ্যচিত্রই দেশ জুড়ে দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই। মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে এসএফআই। সেই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই বাম ছাত্র সংগঠনটি জানিয়েছে, বিবিসি-র তৈরি তথ্যচিত্রের প্রথম দুটি ভাগে ‘ইন্ডিয়া— দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’-এ ২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গার কথা তুলে ধরা হয়েছে। সেই দাঙ্গায় সংখ্যালঘু বহু মানুষ মারা গিয়েছিলেন। সঙ্গে গৃহহীন হতে হয়েছিল প্রচুর মানুষকে। সেই সময় গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকা কী ছিল তা তুলে ধরা হয়েছে ওই তথ্যচিত্রে।
কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে ‘অসহিষ্ণু’ আখ্যা দিয়ে ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, মোদী সরকারের অধীন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক ওই তথ্যচিত্রটি দেখাতে বাধা দিচ্ছে। এমনকি ইউটিউব ও টুইটারকেও ওই সংক্রান্ত লিঙ্ক বন্ধ করতে বলা হয়েছে। এ ভাবে তথ্যচিত্র দেখানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করার সিদ্ধান্তকে এসএফআই ধিক্কার জানায়। ছাত্র সংগঠনের আরও অভিযোগ, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এই ছবিটির প্রদর্শনী বন্ধ করতে উদ্যোগী হচ্ছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-এর ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)। অথচ, এই এবিভিপি ও আরএসএস তাদের মত এবং যুক্তি সমর্থন করে তৈরি সিনেমা ‘কাশ্মীর ফাইল্স’ দেখানোর বন্দোবস্ত করেছিল। কেন্দ্রীয় সরকারও সে ক্ষেত্রে সমর্থন জুগিয়েছিল বলে অভিযোগ করেছে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন। এ ভাবে তথ্যচিত্র দেখানোয় ‘সেন্সর’ করার ঘটনাকে নিন্দা জানিয়ে ‘ইন্ডিয়া– দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’ দেশ জুড়ে দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এসএফআই। এই বাম ছাত্র সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত মেনেই তাঁরা দেশ জুড়ে এই তথ্যচিত্রটি দেখানোর বন্দোবস্ত করবে। তাই এসএফআইয়ের সমস্ত ইউনিটকে এই তথ্যচিত্রটি দেখানোর বন্দোবস্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।