প্রতীকী ছবি।
ঘূর্ণিঝড় আমপানের (প্রকৃত উচ্চারণ উম পুন) ধাক্কা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি পশ্চিমবঙ্গ এবং ওডিশা। ফের চোখ রাঙাচ্ছে আরও একটি ঘূর্ণিঝড়। আরব সাগরের উপর তৈরি হওয়া এই ঘূর্ণিঝড় ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে ধেয়ে আসছে মহারাষ্ট্র এবং গুজরাত উপকূলের দিকে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী ১২ ঘণ্টায় সেটি প্রবল ঘূর্ণিঝড় (সাইক্লোনিক স্টর্ম)-এ পরিণত হবে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আরও শক্তি সঞ্চয় করে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ( সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম)-এর রূপ নেবে।
মৌসম ভবনের অধিকর্তা মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, ২ জুন সকাল পর্যন্ত উত্তর অভিমুখ বরাবর এগোবে ঘূর্ণিঝড়টি। তার পর সেটা উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে ৩ জুন (বুধবার) সন্ধে কিংবা রাতের দিকে উত্তর মহারাষ্ট্র ও দক্ষিণ গুজরাতের উপকূলে হরিহরেশ্বর এবং দমনের মাঝে সেটি আছড়ে পড়তে পারে। আছড়ে পড়ার সময় ঝড়ের ঘূর্ণনের গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ১০৫ থেকে ১১৫ কিলোমিটার। গতিবেগ সর্বোচ্চ মাত্রায় উঠতে পারে ঘণ্টায় ১২৫ কিলোমিটার।
আরব সাগর ও লক্ষদ্বীপ এলাকায় দক্ষিণ-পূর্ব এবং সংলগ্ন পূর্ব-মধ্য অঞ্চলে যে নিম্নচাপ বলয়ের সৃষ্টি হয়েছিল সোমবার সকালেই সেটি নিম্নচাপ থেকে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ সেটির অবস্থান ছিল পানজিম থেকে ৩৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে। মুম্বই থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে। এবং সুরাত থেকে ৮৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে।
এক বিবৃতিতে মৌসম ভবন জানিয়েছে, এই ঝড়ের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। তবে লক্ষদ্বীপ অঞ্চলে, কেরল এবং উপকূলীয় কর্নাটকে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কোঙ্কণ, গোয়া, মহারাষ্ট্রের কিছু অংশে এবং গুজরাতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। পরিস্থিতির উপর নজর রেখে মহারাষ্ট্র এবং গুজরাতের উপকূলীয় অঞ্চলে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন।
এই সময় সমুদ্র ব্যাপক উত্তাল হবে। জলের উচ্চতা ৪ মিটার পর্যন্ত হতে পারে গুজরাত, মহারাষ্ট্র, গোয়া, কর্নাটক, কেরল এবং লক্ষদ্বীপের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে। সঙ্গে প্রবল বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। মত্স্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কড়া লকডাউনেও কেন বাড়ছে করোনা-সংক্রমণ? প্রশ্নের মুখে অস্বস্তিতে কেন্দ্র
আরও পড়ুন: রাজ্যে ক’দিন রুদ্ধ কন্টেনমেন্ট, বৈঠক আজ