উত্তপ্ত মণিপুর। —ফাইল চিত্র।
অশান্ত মণিপুরে নিষিদ্ধ পোস্ত চাষ বন্ধ করতে গিয়ে গ্রামবাসীদের রোষের মুখে পড়ল পুলিশ। দুই পক্ষের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুরের কংপোকপি জেলার মাখন গ্রাম। অন্য দিকে, দিন কয়েক আগে রাজ্যের বিধায়কদের বাড়িতে হামলার ঘটনায় আরও সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গত বুধবার মাখন গ্রামে পুলিশ অবৈধ মাদক চাষের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। পোস্ত চাষের জমি নষ্ট করা জন্য আনা হয়েছিল বিভিন্ন যন্ত্রপাতিও। কিন্তু পুলিশ গ্রামে প্রবেশ করতেই গ্রামবাসীদের বাধার মুখে পড়ে। শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে বচসা। গ্রামবাসীদের কথায়, ‘‘বন্দুক নিয়ে পুলিশ হামলা চালিয়েছে। আমরা তার জবাব দিয়েছি।’’ সংঘর্ষে দু’পক্ষেরই কয়েক জন আহত হয়েছে বলে খবর। তবে গ্রামেরই একাংশ পোস্ত চাষীদের বিরুদ্ধে সরকারকে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
সম্প্রতি মণিপুরের জিরিবামে কুকি জঙ্গি এবং সিআরপিএফ জওয়ানদের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। অভিযোগ, সেই সময় একদল কুকি জঙ্গি মেইতেই সম্প্রদায়ের তিন মহিলা এবং তিন শিশুকে অপহরণ করে। পরে দুই দফায় ছ’জনের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁদের দেহ শনাক্ত করা যায়নি। তবে অনেকেরই অভিযোগ, অপহৃত ছ’জনের দেহ নদীতে ভেসে এসেছে। দেহ উদ্ধারের পর থেকে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় মণিপুরে। বিচার চেয়ে এবং অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানিয়ে ইম্ফলের রাস্তায় বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে আরও কয়েক জনের দেহ উদ্ধার হওয়ায় সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে সুর করেন অনেকে। উত্তেজিত জনতা রাজ্যের বেশ কয়েক জন বিধায়কদের বাড়িতে হামলা চালায়। ভাঙচুর চালানো হয়। সেই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে গত দু’দিনে নতুন করে সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কাকচিং জেলা থেকে তিন জন এবং ইম্ফল পশ্চিম থেকে বাকিদের ধরেছে পুলিশ। এই নিয়ে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪১।
মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহয়ের অভিযোগ, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নাম করে কিছু অসাধু গোষ্ঠী মন্ত্রী এবং বিধায়কদের বাড়িতে লুট এং অগ্নিসংযোগ করেছে। সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই ছবি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।