প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
দিন কয়েক আগেই গুজরাতের এক মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় শোরগোল পড়েছিল। উঠেছিল র্যাগিংয়ের অভিযোগ। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই এ বার উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের এক মেডিক্যাল কলেজের সাত পড়ুয়াকে সাসপেন্ড (নিলম্বিত) করলেন কর্তৃপক্ষ। তাঁদের বিরুদ্ধেও র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্তেরা।
ঘটনাটি ঘটেছে গোরক্ষপুরের বাবা রাঘব দাস মেডিক্যাল কলেজে। অভিযোগ, গত ১০ নভেম্বর রাতে এমবিবিএসে-র দ্বিতীয় বর্ষের কয়েক জন পড়ুয়া বিনা অনুমতিতে জুনিয়রদের হস্টেলে ঢোকেন। কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, এই অপরাধে সাত জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। তবে, এখনও পর্যন্ত সেই অভিযোগের কোনও প্রমাণ মেলেনি। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।
অভিযুক্তেরা রাত ১০টা নাগাদ জুনিয়রদের হস্টেলে প্রবেশ করেন বলে অভিযোগ। আধ ঘণ্টা পর বেরিয়ে যান। তবে, ফুটেজে র্যাগিংয়ের কোনও প্রমাণ মেলেনি। তা সত্ত্বেও, কলেজের অ্যান্টি-র্যাগিং কমিটি ঘটনাটিকে শৃঙ্খলাভঙ্গ বলে মনে করছে। শুরু হয়েছে অভ্যন্তরীণ তদন্ত। সেই সঙ্গে সাত পড়ুয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
যদিও অভিযুক্ত সাত পড়ুয়ার বক্তব্য, তাঁরা জুনিয়রদের সঙ্গে কোনও অভব্য ব্যবহার করেননি। একটি ক্রিকেট দল গঠনের বিষয়ে জুনিয়রদের সঙ্গে আলোচনা করতেই তাঁদের হস্টেলে গিয়েছিলেন। কিন্তু রাতে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কী ভাবে হস্টেলের ভেতর প্রবেশ করলেন, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
এ ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ রামকুমার জয়সওয়াল জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে র্যাগিংয়ের অভিযোগ মেলেনি। তবে, জুনিয়রদের হস্টেলে সিনিয়রদের বিনা অনুমতিতে প্রবেশ শৃঙ্খলাভঙ্গের নজির। তা মেনে নেওয়া যায় না। এর পরই তিনি যোগ করেছেন, সাসপেন্ড হওয়া সাত পড়ুয়াদের আগামী তিন মাসের জন্য কলেজ বা হস্টেল প্রাঙ্গনে প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।