প্রতীকী ছবি।
অসুস্থ গরু। তার চিকিৎসা নিয়ে একেবারে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়লেন সরকরি চিকিৎসকরা। যে সে গরু তো নয়! খোদ জেলাশাসকের গরু বলে কথা। ফলে তার অসুস্থতায় ডাক্তারি মহলে জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে। জেলাশাসকের গরু যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে, তা দেখভালের জন্য সাত চিকিৎসককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের ফতেপুরের ঘটনায় চক্ষু চড়কগাছ সকলের।
এক সরকারি আধিকারিকের চিঠি অনুযায়ী জানা গিয়েছে, জেলাশাসক অনুপ্রিয়া দুবের অসুস্থ গরুর চিকিৎসার জন্য সাত পশু চিকিৎসককে নির্দেশ দিয়েছেন ফতেপুরের মুখ্য ভেটেরিনারি আধিকারিক এস কে তিওয়ারি। নির্দেশনামায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, রোজ সকাল ও সন্ধ্যায় অসুস্থ গরুটির চেক-আপ করবেন চিকিৎসকরা। গরুটির শারীরিক অবস্থা কেমন, তার রিপোর্ট দিতে হবে মুখ্য ভেটেরিনারি আধিকারিককে। গত ৯ জুন এই নির্দেশনামা জারি করা হয়, যা পরবর্তীকালে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
বিজেপির অন্দরে গরুর প্রতি বাড়তি ‘স্নেহের নজর’ নিয়ে বিরোধীরা যতই সমালোচনা করুক না কেন রাজ্যের নাম যখন উত্তরপ্রদেশ, সেখানে গরুকে নিয়ে এমন কাণ্ড খুব একটা অবাক করার মতো নয় বলেও ধারণা অনেকের।
ফতেপুরের এই ঘটনা ২০১৭ সালের রামপুরের স্মৃতি রোমন্থন করেছে। প্রভাবশালী সমাজবাদী পার্টি নেতা আজম খনের হারিয়ে যাওয়া মহিষদের খুঁজে বের করতে সে বার মোতায়েন করা হয়েছিল রামপুরের আস্ত পুলিশ বাহিনী। মহিষগুলি চুরি গিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। পরে স্নিফার ডগের সাহায্যে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে তাদের হদিস পাওয়া যায়।