সুপ্রিম কোর্ট— ফাইল চিত্র।
দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার দৌড়ে টিভি চ্যানেলকে টেক্কা দিচ্ছে ডিজিটাল মিডিয়ার খবর। শুধু দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়াই নয়, সত্যের পাশাপাশি ছড়াচ্ছে আধা সত্য এমনকি, মিথ্যেও। তাই নরেন্দ্র মোদী সরকার চায়, বৈদুতিন সংবাদমাধ্যমের (টিভি) আগে ডিজিটাল মিডিয়ার খবরের মান ও স্বচ্ছতা নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরি করুক সুপ্রিম কোর্ট।
একটি টিভি চ্যানেলে সম্প্রচারিত বিতর্কিত খবর প্রসঙ্গে দায়ের হওয়া মামলার শুনানিতে সংবাদমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতার প্রশ্ন ওঠে সুপ্রিম কোর্টে। মঙ্গলবার শুনানিপর্বে টিভি চ্যানেলগুলির খবরের সত্যতা ও মান নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্রকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার কথা বলে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ। কিন্তু বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের হলফনামায় বর্তমান পরিস্থিতিতে টিভির উপর নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা নিয়েই প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
হলফনামায় বলা হয়েছে, ‘‘ডিজিটাল মিডিয়া অনেক দ্রুত মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুকের মতো অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে তা ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনাও অনেক বেশি। ফলে আরও সতর্কতা বজায় রাখা প্রয়োজন।’’ বতর্মান প্রেক্ষাপটে ডিজিটাল মিডিয়ার প্রভাব অনেক বেশি বলেও শীর্ষ আদালতকে জানিয়েছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় ৯৭৮৯৪ নতুন করোনা সংক্রমণ, মোট সুস্থ ৪০ লক্ষ পেরলো
কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের দাবি, ‘‘প্রিন্ট মিডিয়া (খবরের কাগজ, পত্রিকা ইত্যাদি) এবং বৈদ্যুতিন মিডিয়া (টিভি)-র ভূমিকা পর্যালোচনা করে আগে নানা রায় দিয়েছে আদালত। যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়ে ও বিচার করে তবেই সেখানে কোনও খবর প্রকাশ করা হয়। কিন্তু সরকারি পর্যবেক্ষণ বলছে, ডিজিটাল মিডিয়ার ক্ষেত্রে বাকস্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের দায়িত্ব—এই দুইয়ের মধ্যে ভারসাম্য প্রায়শই রক্ষা করা হয় না। তাই আগে ডিজিটাল মিডিয়ার জন্য নির্দিষ্ট গাইডলাইন বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও পদক্ষেপ জরুরি।
আরও পড়ুন: ফের ঘনীভূত নিম্নচাপ, রবিবার থেকে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা
সংশ্লিষ্ট টিভি চ্যানেলটিতে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে খবর প্রচার করা হয়েছে বলে সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছিল আবেদনকারী পক্ষ। এ সংক্রান্ত পর্যবেক্ষণে শীর্ষ আদালত জানায়, সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর তদন্ত সংক্রান্ত খবর প্রচারের ক্ষেত্রে কয়েকটি টিভি চ্যানেলের ভূমিকা নিয়েও উদ্বেগের কারণ রয়েছে।