Lucknow Incident

গৃহকর্ত্রীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে চুরি নগদ এবং সোনা! ১৮ দিন পর পরিচারককে গ্রেফতার করল পুলিশ

এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল অভিযুক্ত মহম্মদ সোহসকে রবিবার গ্রেফতার করে পুলিশ। তার পরই তাঁকে জেরা করে নগদ এবং চুরি যাওয়া সোনার খোঁজ পায় তারা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০২৪ ১৩:৩০
Share:

প্রতীকী ছবি।

গৃহকর্ত্রীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে লক্ষাধিক নগদ এবং সোনা নিয়ে চম্পট দেন পরিচারক। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃদ্ধা গৃহকর্ত্রীর রোজকার খাওয়ার ওষুধের পরিবর্তে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে চুরির ঘটনা ঘটানো হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও খবর।

Advertisement

ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের লখনউতে। সেখানকার ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) দুর্গেশ কুমারের কথায়, ‘‘বছর দুই আগে ভুক্তভোগীর বাড়িতে কাজে যোগ দেন অভিযুক্ত। বাড়িতে ওই বৃদ্ধা একাই থাকতেন। তাঁর দেখভাল করতেন ওই যুবক। ২৫ এপ্রিল তিনি তাঁর বাবা এবং এক আত্মীয়ের সহায়তায় বৃদ্ধার বাড়ি থেকে গয়না এবং নগদ চুরি করেছেন।’’

পুলিশ সূত্রে খবর, সাড়ে ১৫ লক্ষ মূল্যের সোনা এবং এক লক্ষ নগদ চুরি গিয়েছে। শারীরিক অসুস্থতার কারণে ওই বৃদ্ধাকে চিকিৎসকেরা কিছু ওষুধ দিয়েছিলেন। রোজ রাতে সেই ওষুধ খেতেন। পরিচারকই সেই ওষুধ দিতেন বৃদ্ধাকে। তবে চুরির ঘটনার দিন তাঁকে নির্ধারিত ওষুধের পরিবর্তে ঘুমের ওষুধ দেন পরিচারক। বৃদ্ধা ঘুমিয়ে পড়লেই সোনা এবং নগদ চুরি করেন।

Advertisement

এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল অভিযুক্ত মহম্মদ সোহসকে রবিবার গ্রেফতার করে পুলিশ। তার পরই তাঁকে জেরা করে নগদ এবং চুরি যাওয়া সোনার খোঁজ পায় তারা। রবিবার রাতেই সোহেলের বাবা মহম্মদ শরিফ এবং তাঁর আত্মীয় শাকিলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উদ্ধার করা হয় নগদ এবং সোনা।

ভুক্তভোগী বৃদ্ধার ছেলে সাদতগঞ্জ থানায় পরিচারকের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্তে নামে পুলিশ। পরিচারকদের খোঁজে পুলিশ একটি দল গঠন করে। তারাই অপরাধীদের খুঁজে বার করে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement