সেলফি তুলতে গিয়ে মর্মান্তিক জোড়া মৃত্যু রাঁচীর জোনহা জলপ্রপাতে। —নিজস্ব চিত্র।
ফের সেলফি তুলতে গিয়ে মর্মান্তিক জোড়া মৃত্যু। এ বার রাঁচীর জোনহা জলপ্রপাতে। গতকাল বিকেলে রাঁচীর দুই কলেজ ছাত্র দিব্যায়ন ভট্টাচার্য(১৮) ও সমীর বিশ্বকর্মা (১৮) তাদের দুই বান্ধবীকে নিয়ে জোনহা ফলসে যান। ভরা বর্ষায় এখন জোনহা ফলসে জল উপচে পড়ছে। শুধু জোনহা ফলসই নয়,রাঁচীর আশপাশের প্রতিটি ফলস যেমন হুড্র, জোনহা, দশম সবকটি ফলসেই প্রচুর জল। ফলসে পর্যটন দফতরের কতর্ব্যরত কর্মীদের বারণ উপেক্ষা করেই ওই চার যুবক যুবতী ফলসের একটি পাথরের উপরে উঠে বিপজ্জনকভাবে সেলফি তোলার চেষ্টা করেন।
আরও পড়ুন, কুম্বকোনাম অগ্নিকাণ্ড: বেকসুর খালাস সাত অভিযুক্ত
সেই সময় পা ফস্কে যায় এক বন্ধুর। ওই বন্ধুকে বাঁচাতে গিয়ে চারজনই পাথড়ের ওপর থেকে একেবারে ১৫ ফুট গভীর গর্তে গিয়ে পড়েন। মেয়েদু’টি কোনওরকমে বেঁচে গেলেও দিব্যায়ন ও সমীর জলে তলিয়ে যান। প্রায় আধঘণ্টা বাদে তাঁদের দেহ উদ্ধার হয়।
জলে নেমে ডুবুরিদের দেহের খোঁজে তল্লাশি। — নিজস্ব চিত্র।
আরও পড়ুন, নলি কেটে খুন হওয়া মেয়েটা এয়ার হস্টেস হতে চেয়েছিল
জোনহা ফলসে সিঁড়ি দিয়ে নামার সময়ে দেখা যায়, বড় বড় হরফে লেখা রয়েছে বিপজ্জনকভাবে সেলফি তুলবেন না। কিন্তু কে কার কথা শোনে? পর্যটন দফতরের এক কর্মী ধনঞ্জয় মাহাতো বলেন, ‘‘ওই চার কলেজ ছাত্রছাত্রীকে আমরা বারবার বারণ করেছিলাম যে পাথড়ের উপরে উঠবেন না। সেলফি তুলবেন না। আমাদের কথায় কর্ণপাত না করে ওরা পাথড়ের ওপরে উঠে সেলফি তুলতে থাকে।’’ ঝাড়খণ্ডের পর্যটন দফতরের সচিব রাহুল শর্মা বলেন, ‘‘আমরা পর্যটকদের বারবার অনুরোধ করছি জলপ্রপাত উপভোগ করুন দূর থেকে। না হলে বড়সড় বিপদ ঘটতে পারে।’’