কালীচরণ মহারাজ সংগৃহীত
গাঁধী ও ভিন্ন ধর্ম নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য স্বঘোষিত ধর্মগুরু কালীচরণ মহারাজের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা করল ছত্তীশগঢ় পুলিশ। মধ্যপ্রদেশের খাজুরাহোর বাগেশ্বরী ধামের কাছ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভোটর ৪টে নাগাদ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
গাঁধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসের প্রশংসা করে রায়পুরের একটি ধর্ম সংসদে তাঁর সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেন কালীচরণ মহারাজ। রায়পুর পুরসভার প্রাক্তন মেয়র প্রমোদ দুবের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। ওই সভায় তাঁর বিরুদ্ধে ভিন্ন ধর্ম নিয়েও অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগ রয়েছে।
রায়পুরের এসপি প্রশান্ত আগরওয়াল বলেন, মধ্যপ্রদেশের খাজুরাহো থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে বাগেশ্বরী ধামে একটি গেস্ট হাউসে থাকছিলেন কালীচরণ। অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর থেকে স্বঘোষিত ধর্মগুরু ও তাঁর সহযোগীরা মোবাইল বন্ধ করে রেখেছিলেন। বৃহস্পতিবার ভোর ৪টে নাগাদ সেই গেস্ট হাউস থেকে কালীচরণকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্র থেকে ছত্তিশগঢ় পর্যন্ত কালীচরণের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। বেশ কিছু দিন ধরেই তাঁকে পুলিশ খুঁজছিল বলে জানা গিয়েছে। রায়পুরে মামলা দায়ের হওয়ার পর থেকেই স্বঘোষিত ধর্মগুরু ওই গেস্ট হাউসে লুকিয়ে ছিলেন।
তবে কালীচরণকে গ্রেফতার নিয়ে দুই রাজ্যের মধ্যে বিতণ্ডা শুরু হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র অভিযোগ করেছেন, ছত্তিশগঢ় পুলিশ আন্তঃরাজ্য প্রটোকল ভেঙে রাজ্যেকে না জানিয়ে কালীচরণকে গ্রেফতার করেছে। ছত্তীশগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘নিয়ম মেনেই তাঁকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলুন, যিনি গাধীঁকে অপমান করেছেন তাঁর গ্রেফতারে তিনি খুঁশি কি না।’’ বৃহস্পতিবারই কালীচরণকে আদালতে তোলা হয়েছে।