Omicron

Delhi Omicron: সকলেই উপসর্গহীন ওমিক্রনে, কাউকেই দিতে হয়নি অক্সিজেনও বললেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সংক্রমণের হার পর পর দু’দিন ০.৫% থাকলে হলুদ সতর্কতা জারি হয়। এতে রাত-কারফিউ জারির পাশাপাশি স্কুল-কলেজ-জিম বন্ধ রাখার কথা বলা হয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২১ ১৬:২৮
Share:

দিল্লিতে ওমিক্রন আক্রান্তরা প্রত্যেকেই উপসর্গহীন, বলছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ফাইল ছবি।

দিল্লিতে করোনা ধীরে ধীরে গোষ্ঠী সংক্রমণের দিকে এগোচ্ছে। এরই মাঝে আশার আলো দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনের বক্তব্যে। তিনি জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত রাজধানীতে ওমিক্রন আক্রান্তেরা সকলেই উপসর্গহীন। এবং কাউকেই অক্সিজেন দেওয়ার প্রয়োজন হয়নি। তাঁর বার্তা, ‘আতঙ্ক নয়, সচেতন থাকুন।’

সদ্য হাতে আসা জিন পরীক্ষার (পরিভাষায় ‘জেনোম সিক্যুয়েন্সিং) রিপোর্টের উল্লেখ করে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দিল্লিতে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৪৬ শতাংশই ওমিক্রন রূপে সংক্রমিত। পাশাপাশি সত্যেন্দ্র জানিয়েছেন, দিল্লিতে ওমিক্রন আক্রান্তদের মধ্যে এমনও রোগী আছেন, যাঁদের সাম্প্রতিক অতীতে বিদেশ কিংবা অন্য কোনও জায়গায় ভ্রমণের ইতিহাস নেই। এর উপর ভিত্তি করে তাঁর অনুমান, দিল্লি ধীরে ধীরে গোষ্ঠী সংক্রমণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সত্যেন্দ্র বলেন, ‘‘কম-বেশি ২০০ রোগী এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার মধ্যে ১১৫ জন সরাসরি বিমানবন্দর থেকে এসেছেন এবং তাঁরা প্রত্যেকেই উপসর্গহীন। ২০০ জন আক্রান্তের মধ্যে, ১০২ জন দিল্লির বাসিন্দা এবং ৯৮ জন বাইরে থেকে এসেছেন। ভর্তি থাকা রোগীদের এক জনেরও কোনও ধরনের উপসর্গ নেই। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।’’

Advertisement

বুধবার দিল্লিতে ৯২৩ জন নতুন করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। রাজধানীর সংক্রমণ হার ১.২৯ শতাংশ। যদিও দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলছেন, ‘‘এখনই আতঙ্কের কিছু দেখছি না।’’ তাঁর ব্যাখ্যা, সংক্রমণের পরিমাণ (ভাইরাল লোড) এবং হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা— দুই-ই যথেষ্ট কম। তাই ‘গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান’ (জিআরএপি)-এর প্রথম স্তর (হলুদ সতর্কতা) জারি হয়েছে। সত্যেন্দ্র বলেন, ‘‘ডিপার্টমেন্ট অব দিল্লি ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (ডিডিএমএ)-এর সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠকের পর বলতে পারব বিধিনিষেধ আরও কড়া করা হবে কি না।’’

জিআরএপি-র প্রথম স্তর হল হলুদ সতর্কতা। কোনও জায়গার সংক্রমণের হার যদি পর পর দু’দিন ০.৫ শতাংশ বা তার উপরে থাকে, তা হলে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়। হলুদ সতর্কতায় নৈশকালীন কারফিউ জারির পাশাপাশি স্কুল, কলেজ, প্রেক্ষাগৃহ এবং জিম বন্ধ করে দেওয়া হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement