মুকেশ অম্বানী
দু’জনের হাতেই বড় ও ভারী ব্যাগ। জানতে চাইছেন, মুকেশ অম্বানীর বাড়ি অ্যান্টিলিয়া ঠিক কোথায়? ওঁদের কথাবার্তা ও ব্যাগ দু’টি দেখে সন্দেহ হয় এক ট্যাক্সিচালকের। দ্রুত ফোন করে তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন সব। খবর পেয়েই আজ দ্রুত মাঠে নামে পুলিশ।
প্রথমেই নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয় রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ়ের চেয়ারম্যান মুকেশের বাড়ির আশপাশের এলাকায়। সিসি-ক্যামেরায় সন্ধান শুরু হয়, ওই ট্যাক্সিচালকের দেওয়া বর্ণনার সঙ্গে মেলে, এমন দুই ব্যক্তির সন্ধান যদি মেলে। রাত পর্যন্ত তেমন কারও সন্ধান পাওয়ার কথা জানায়নি মুম্বই পুলিশ।
ওই ট্যাক্সিচালকের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ ওই দুই সন্দেহভাজন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে। তাঁর বয়ান রেকর্ডও করা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, তাদের এক জন উচ্চপদস্থ আধিকারিক গোটা বিষয়টির উপরে নজর রাাখছেন।
কয়েক মাস আগেই ২৭ তলা বাড়িটিকে ঘিরে এমনই নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছিল। সে বার অ্যান্টিলিয়ার কাছে বিস্ফোরক বোঝাই একটি গাড়ি পাওয়া যায়। ২০টি জিলেটিন স্টিক ছিল তাতে। আর ছিল মুকেশ ও স্ত্রী নীতা অম্বানীর উদ্দেশে লেখা একটি চিঠি। কী ছিল সেই চিঠিতে, আজও তা প্রকাশ্যে আনেননি তদন্তকারীরা। এর মধ্যে ওই গাড়ির মালিক মনসুখ হিরেনের খুনের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে, গ্রেফতার ও বরখাস্ত হয়েছেন উচ্চপদস্থ পলিশ-কর্তা সচিন ওয়াজ়ে।
প্রথমে পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও পরে এর দায়িত্ব যায় এনআইএ-র হাতে। ওই ঘটনায় এ পর্যন্ত নানা রকম চক্রান্তের কথা উঠে এলেও এনআইএ-র তদন্ত এখনও শেষ হয়নি।
তবে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি উদ্ধারের পর থেকেই দেশের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিটি ও তাঁর পরিবারের লোকজন জঙ্গি নাশকতার নিশানায় রয়েছেন, এমন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ কারণেই ওই ট্যাক্সিচালকের কাছে আজ ব্যাগ হাতে দু’জন অ্যান্টিলিয়ার হদিশ জানতে চাওয়ার পরই তিনি সজাগ নাগরিক হিসাবে তা পুলিশকে জানান। পুলিশও ব্যবস্থা নেয় দ্রুত।