দ্বিতীয় ডোজ় পাননি সাড়ে ৩ কোটির বেশি মানুষ। ছবি: পিটিআই
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে করোনা প্রতিষেধক কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ডোজ় পাননি সাড়ে ৩ কোটির বেশি মানুষ। তথ্যের অধিকার আইনে করা একটি প্রশ্নের উত্তরে সরকার এই তথ্য জানিয়েছে। এর প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত, এই প্রবণতা বিপজ্জনক। এর ফলে সামগ্রিক টিকাকরণ প্রক্রিয়া প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে।
গত কাল বিকেল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের কোউইন পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী, ৪৪ কোটি ২২ লক্ষ ৮৫ হাজার ৮৫৪ জন করোনা প্রতিষেধকের প্রথম ডোজ় নিয়েছেন এবং টিকার দ্বিতীয় ডোজ় নিয়েছেন ১২ কোটি ৫৯ লক্ষ ৭ হাজার ৪৪৩ জন। সমাজকর্মী রমণ শর্মা তথ্যের অধিকার আইনে সরকারের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, কত জন মানুষ করোনার টিকা কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ় নিয়েছেন, কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ় পাননি? কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের করোনা প্রতিষেধক বিভাগ উত্তরে জানিয়েছে, কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ় নেওয়ার পরে ৮৪-১১২ দিন পরে দ্বিতীয় ডোজ় নিতে বলা হয় এবং কোভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ডোজ় নেওয়ার নিয়ম প্রথম ডোজ় নেওয়ার ২৮-৪২ দিনের মধ্যে।
ওই বিভাগের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘কোউইন পোর্টাল (গত ১৭ অগস্ট পর্যন্ত) অনুযায়ী, কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ় নেওয়ার পরে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ় নেননি ৩ কোটি ৪০ লক্ষ ৭২ হাজার ৯৯৩ জন। আর কোভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ়ের পরে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ় পাননি ৪৬ লক্ষ ৭৮ হাজার ৪০৬ জন।’’ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ওই বিভাগের তরফে বলা হয়েছে, প্রথম ডোজ় নেওয়ার পরে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যাঁরা দ্বিতীয় ডোজ় পাননি, তাঁদের পুনরায় টিকার প্রথম ডোজ় নিতে হবে এমন কোনও পরামর্শও দেওয়া হয়নি।
দেশে অন্তত চার কোটি মানুষের দ্বিতীয় ডোজ় না-পাওয়ার ঘটনায় উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরা। তাঁদের মতে, যে ব্যক্তি একটি ডোজ় নিয়েছেন, তাঁর দেহে পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি তৈরি হয়নি। ফলে তাঁর কোভিড আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। যাতে টিকাকরণের সামগ্রিক উদ্দেশ্যটাই ব্যর্থ হবে।