স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে রাহুল গান্ধী। ছবি: পিটিআই।
এক দশক পর লোকসভায় ফিরেছে বিরোধী দলনেতার আসন। এখন সেই পদে রয়েছেন রাহুল গান্ধী। বিরোধী দলনেতার পদ এক জন পূর্ণমন্ত্রীর সমতুল্য। কিন্তু বৃহস্পতিবার স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে তাঁর বসার আসন যেখানে করা হয়েছিল, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুলও। লালকেল্লায় যে ছবি দেখা গিয়েছে, তাতে অতিথি আসনের সামনের সারিতে জায়গা পাননি রাহুল। ‘ইন্ডিয়া টুডে’র এক প্রতিবেদনে প্রকাশ, তাঁর বসার জায়গা করা হয়েছিল কিছুটা পিছনের দিকের সারিতে।
সামনের সারিতে ছিলেন অলিম্পিক্সে পদকজয়ী মনু ভাকের, সরবজ্যোত সিংহেরা। অলিম্পিক্সে পদকজয়ী ভারতীয় হকি দলের অধিনায়ক হরমনপ্রীত সিংহ ও পিআর শ্রীজেশও বসেছিলেন রাহুলের সামনের সারিতে। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে আসনবিন্যাস ঘিরে, বিশেষ করে রাহুলের আসন ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।
সাধারণত রীতি অনুযায়ী বিরোধী দলনেতার আসন থাকার কথা সামনের সারিতে। অতীতেও বিজেপি আমলে এই রেওয়াজ চালু ছিল। অটলবিহারী বাজপেয়ীর জমানায় যখন সনিয়া গান্ধী বিরোধী দলনেত্রী ছিলেন, তখনও সব সময় তাঁকে সামনের সারিতে বসতে দেওয়া হত। কিন্তু বৃহস্পতিবারের অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করেরা সামনের সারিতে বসলেও, রাহুল বসেছিলেন বেশ কিছুটা পিছনের দিকে।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্বে থাকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ‘ইন্ডিয়া টুডে’র প্রতিবেদনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানানো হয়েছে, সাধারণত বিরোধী দলনেতাকে প্রথম সারিতেই আসন দেওয়া হয়। কিন্তু অলিম্পিক্সে পদকজয়ীদের জন্য সামনের সারিতে জায়গা করা হয়েছিল। তাই বিরোধী দলনেতার আসন পিছনের দিকে সরাতে হয়েছে।