স্কুলপড়ুয়াকে খুনের অভিযোগ স্কুলের দাদাদের বিরুদ্ধে। প্রতীকী ছবি।
স্কুলপড়ুয়াকে খুনের অভিযোগ স্কুলের দাদাদের বিরুদ্ধে। এক দল যুবক ওই ছাত্রকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে। স্কুলের বচসার জেরেই এই হত্যাকাণ্ড বলে মনে করছে পুলিশ।
ঘটনাটি হরিয়ানার গুরুগ্রামের। সেখানেই একটি বেসরকারি স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে আর এক দল ছাত্রের আক্রমণে। তারা ছাত্রটির স্কুলেই উঁচু ক্লাসে পাঠরত বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার দুপুরে ওই ছাত্র স্কুল থেকে ফেরার পথে তাকে আক্রমণ করা হয়।
অভিযোগ, ৭ থেকে ৮ জন ছাত্রের একটি দল স্কুল থেকে ফেরার সময় কিশোরের পথ আটকায়। অন্য এক বন্ধুর সঙ্গে বাইকে বাড়ি ফিরছিল কিশোর। তাকে আটকে বাইক থেকে টেনে নামানো হয়। অভিযুক্তেরা বলে, ‘‘তুই স্কুলে বেশি দাদাগিরি করিস, তোকে আজ প্রাণে মেরে ফেলব।’’ এর পরেই ধারালো অস্ত্র নিয়ে কিশোরের উপর চড়াও হয় তারা।
কিশোরের বুকে, পেটে এলোপাথাড়ি কোপ মারা হয় বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে যায় সে। কাছেই ওই কিশোরের কাকা মাঠে কাজ করছিলেন। তিনি ছুটে এলে অভিযুক্তেরা পালিয়ে যায়। কিশোরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসা চলাকালীন তার মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনার পর স্থানীয় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের কাকা। অভিযোগপত্রে তিনি জানিয়েছেন, কী ভাবে তাঁর ভাইপোকে খুন করা হয়েছে। এ-ও জানিয়েছেন, জখম অবস্থায় কিশোর তাঁকে জানিয়েছে, অভিযুক্তেরা সকলেই তার স্কুলের সিনিয়র দাদা। কিছু দিন আগে তাদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিল কিশোর। তার জেরেই এই আক্রমণ।
এই ঘটনায় ৫ জনকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার বা আটক করা হয়নি। এই ৫ জন ছাড়া আরও কয়েক জন যুবকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা হয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে আরও খুঁটিনাটি জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।