—ফাইল চিত্র।
হাওয়া খারাপ এখনও। তার মধ্যে সোমবার থেকে স্কুল খুলে গেল দিল্লিতে। খুলে গেল সরকারি অফিসও। তবে নির্মাণকাজে স্থগিতাদেশ এখনও জারি থাকছে বলে এ দিন জানিয়েছেন দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই।
চলতি মাসের গোড়া থেকেই বায়ু-দূষণে কাবু রাজধানী শহর। নেপথ্যের কারণগুলির মধ্যে রয়েছে আশপাশের খেতে ফসলের গোড়া পোড়ানো, কলকারখানা এবং যানবাহন থেকে হওয়া দূষণ, প্রতিকূল আবহাওয়া এবং নির্মাণক্ষেত্রের ধুলো।
করোনার জেরে বন্ধ থাকার প্রায় ১৮ মাস পরে, সেপ্টেম্বরের শুরুতে দিল্লির বিভিন্ন স্কুলের ক্লাস ধাপে ধাপে শুরু হচ্ছিল। কিন্তু বায়ু দূষণের জন্য নভেম্বরের মাঝামাঝি ‘কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট’ একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করে। যার জেরে দিল্লি এনসিআর-এর সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফিরে গিয়েছিল অনলাইন ক্লাসে।
সোমবার থেকে সমস্ত শ্রেণির ক্লাস ফের শুরু হয়েছে। তবে ‘সিস্টেম অব এয়ার কোয়ালিটি অ্যান্ড ওয়েদার ফোরকাস্টিং রিসার্চ’-এর তথ্য অনুযায়ী এ দিন সকালে দিল্লির বায়ু মান সূচক ছিল ৩৭০। যা ‘অতি খারাপ’ বলে ধরা হয়। শীত আর বাতাসের ধীর গতির জন্য পরিস্থিতির বিশেষ উন্নতি হচ্ছে না। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, জোরে হাওয়া আর বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ডিসেম্বরের গোড়ায়। মাসের ৫-৬ তারিখ থেকে অবস্থার উন্নতি হতে পারে।
পরবর্তী নির্দেশিকা না জারি হওয়া পর্যন্ত নির্মাণক্ষেত্রে ভাঙা-গড়া বন্ধ থাকবে বলে এ দিন জানানো হয়েছে। তবে দূষণ হবে না মতো কাজ, যেমন নলকূপ খনন, অন্দরসজ্জা, ইলেকট্রিক বা কাঠের কাজকর্ম চলতে পারে। সমস্যাগ্রস্ত শ্রমিকদের রুজির বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছে সরকার।
জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা-ক্ষেত্র ছাড়া ট্রাক ঢোকার ব্যাপারেও নিষেধাজ্ঞা থাকছে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তবে সিএনজি এবং ইলেকট্রিক ট্রাক দিল্লিতে ঢুকতে পারবে বলে এ দিন বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠকের পরে জানানো হয়েছে।
সিগন্যাল বন্ধ থাকার সময় গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ রাখতে বিশেষ কর্মসূচি নিয়েছে সরকার। যানবাহন থেকে দূষণ কমাতে তা ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে বলে এ দিন জানিয়েছেন দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই। শহরের ১৪টি এলাকার সরকারি আবাসন থেকে কর্মচারীদের অফিসে পৌঁছতে বিশেষ বাস পরিষেবা চালু হয়েছে।