আগ্নেয়গিরির ভয়ে পালাচ্ছেন গ্রামবাসীরা

পাহাড়ের পাদদেশ থেকে গলগলিয়ে উঠছে ধোঁয়া। বের হচ্ছে ছাই। আগ্নেয়গিরি জেগে ওঠার আতঙ্কে গ্রাম ছেড়ে পালাচ্ছেন মণিপুরের উখরুল জেলার ওল্ড ওয়াহংয়ের বাসিন্দারা। পরিস্থিতি সামলাতে রাজ্য সরকারের সাহায্য চেয়েছে জেলা প্রশাসন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০১৫ ০৩:৪২
Share:

মণিপুরের উখরুলে আগ্নেয় পাহাড়। শুক্রবার ওইনাম দীপকের তোলা ছবি।

পাহাড়ের পাদদেশ থেকে গলগলিয়ে উঠছে ধোঁয়া। বের হচ্ছে ছাই। আগ্নেয়গিরি জেগে ওঠার আতঙ্কে গ্রাম ছেড়ে পালাচ্ছেন মণিপুরের উখরুল জেলার ওল্ড ওয়াহংয়ের বাসিন্দারা। পরিস্থিতি সামলাতে রাজ্য সরকারের সাহায্য চেয়েছে জেলা প্রশাসন।

Advertisement

পুরনো ওয়াহং গ্রামের পাহাড়-জলা থেকে প্রথম ধোঁয়া ওঠার ঘটনা ঘটে এপ্রিল মাসে। তখন সকলে ভেবেছিলেন, প্রাকৃতিক গ্যাস বা ছোট দাবানলের জন্য ধোঁয়া বের হচ্ছে। কিন্তু, গত এক সপ্তাহ ধরে ধোঁয়ার কুণ্ডলী ক্রমশ বেড়েছে। সেই সঙ্গে বের হচ্ছে ছাই। এলাকাটি মণিপুর, নাগাল্যান্ড ও মায়ানমারের সীমান্তে। ধোঁয়া পরীক্ষা করতে গিয়ে আগুনে দগ্ধ হয়ে জখম হন স্থানীয় যুবক উইসডম ভাসুম। গ্রামবাসীরা জানান, আগে একটিমাত্র গর্ত দিয়ে ধোঁয়া বের হচ্ছিল। এখন একাধিক গর্ত ও ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। উখরুলের জেলাশাসক এম হৃষিকেশ অরবিন্দ এলাকায় সতর্কতা জারি করে রাজ্য সরকার ও বিশেষজ্ঞদের সাহায্য চেয়ে পাঠিয়েছেন। মণিপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূবিজ্ঞান বিভাগের বিশেষজ্ঞরা এস মণিচন্দ্রের নেতৃত্বে ৫ জুলাই ঘটনাস্থলে যাবেন।

এর আগে, একই জেলার নিউ তুসোম গ্রামে ২০১৩ সালের অক্টোবরে ভূ-গহ্বর থেকে ছাই ও কাদা উদ্গীরণ হয়েছিল। সে বার পাহাড়ের মাথা থেকে বিস্ফোরণের শব্দ আসে। তার পরই পাথর ও লাভাসদৃশ খকথকে বস্তু গড়িয়ে গাছপালা পুড়িয়ে দেয়। ওই গ্রাম থেকে বর্তমানে ধোঁয়া ওঠা ওয়াহং গ্রামের দূরত্ব বেশি নয়। গত বার মাসখানেকের উপর ধোঁয়া, গরম কাদা বের হওয়ার পরে পাহাড় শান্ত হয়। পরে রাজ্যের ভূবিজ্ঞানীর জানিয়েছিলেন, ভারত-মায়ানমার টেকটনিক প্লেটের সামান্য স্থানান্তরের ফলেই ভূগর্ভস্থ উত্তপ্ত কাদা বের হয়ে এসেছিল।স্থানীয় মানুষের আশঙ্কা, এ বার বড় ধরণের অগ্ন্যুৎপাত ঘটতে পারে। প্রাণ বাঁচাতে আশপাশের মানুষ গবাদি পশু নিয়ে ঘর ছেড়েছেন। গ্রামের যুবকরা আজ জঙ্গলে গিয়ে দেখেন, ভূপৃষ্ঠে ছোট ছোট গর্ত থেকে বের হচ্ছে ধোঁয়া। বেশ কিছু গাছপালাও পুড়ে গিয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement