৩৭০ বিলোপ নিয়ে বক্তব্য জানাতে কেন্দ্রকে ৪ সপ্তাহ সময় সুপ্রিম কোর্টের। ফাইল চিত্র
জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ আবেদনের শুনানি হবে আগামী ১৪ নভেম্বর। মঙ্গলবার জানিয়ে দিল দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি এন ভি রমনের নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ সদস্যের বেঞ্চের নির্দেশ অনুযায়ী, চার সপ্তাহের মধ্যে পাল্টা হলফনামা জমা দিতে পারবে কেন্দ্রও। এই সময়ের মধ্যে নতুন কোনও আবেদন শোনাও হবে না।
৩৭০ ধারা রদের পরেই এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছিলেন আইনজীবী এম এল সিংহ। দিন কয়েক পরেই ন্যাশানল কনফারেন্সের পক্ষ থেকে আবেদন জানান সাজ্জাদ লোন। আদালতের দ্বারস্থ হন উপত্যকার সিপিএম নেতা ইউসুফ তরিগামিও। আবেদন জমা পড়ে জম্মু কাশ্মীরের অবসরপপ্রাপ্ত বিচারপতি হাসনাইন মাসুদির পক্ষ থেকেও। বিচারপতি মাসুদিই ২০১৫ সালে রায় দিয়েছিলেন, জম্মু কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা ‘সংবিধানের স্থায়ী বৈশিষ্ট্য’ হিসেবে বলবত থাকবে। আবেদন এসেছিল প্রাক্তন আইএএস অফিসার হায়দার তৈয়াবদি, প্রাক্তন এয়ারমার্শাল কপিল কাক, ছাত্রনেত্রী শেহলা রশিদ, প্রাক্তন আইএএস গোপাল পিল্লাই অমিতাভ পান্ডে-সহ অন্যান্যরা।
গত শনিবার প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারার বিরোধিতায় এই আবেদনগুলির শুনানির জন্যে একটি বেঞ্চ তৈরি করেন। এই বেঞ্চে বিচারপতি এনভি রমনের নেতৃত্বে রাখা হয় বিচারপতি এসকে কাউল, বিচারপতি আর সুভাষ রেড্ডি, বিচারপতি বিআর গভাই এবং বিচারপতি সূর্য কান্ত। এই বেঞ্চের তরফে এদিন বলা হয়, এই বিষয়ে কোনও পাল্টা মত দেওয়ার আগে কেন্দ্রের যুক্তিও শোনা দরকার। এই কারণেই চার সপ্তাহ সময় দেওয়া হচ্ছে কেন্দ্রকে। তার আগে নতুন করে বিরোধীদের কোনও আবেদন নেওয়া হবে না। অন্য দিকে কেন্দ্রে হলফনামার বিরুদ্ধেও পাল্টা আবেদন জমা দিতে এক সপ্তাহ দেওয়া হবে বিরোধীদের।
আরও পড়ুন:অমিত শাহ লাইভ: আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আগামী নির্বাচনে মোদীর নেতৃত্বে সরকার হবে বাংলায়
আরও পড়ুন:রাজীবের কাছে ‘হার’ সব দিকেই, সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে সিবিআই
এদিন এই বেঞ্চের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, জম্মু কাশ্মীর হাইকোর্টের জুভেনাই জাস্টিস কমিটিও একটি রিপোর্ট পাঠিয়েছে কাশ্মীরে কিশোরদের ‘বন্দি’ করার বিষয়ের বিরোধিতা করে। এনভি রমনের বেঞ্চ বলে, রিপোর্টটি পাওয়া গিয়েছে। এটি তিন সদস্যের কাশ্মীর বেঞ্চে পাঠানো হবে। এই তিন সদস্যের বেঞ্চটি আরও কিছু আবেদন খতিয়ে দেখবে। তার মধ্যে রয়েছে গুলাম নবি আজাদ, সীতারাম ইয়েচুরির আবেদন। রয়েছে কাশ্মীর টাইমস সংবাদপত্রের সম্পাদক অনুরাধা ভাসিনের সাংবাদিকের কণ্ঠরোধ সংক্রান্ত আবেদনটিও।