ছবি: অভিযোগকারিণীর ফেসবুক থেকে নেওয়া
শাজাহানপুরে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনের ছাত্রীকে যৌন হেনস্থা এবং অপহরণ মামলার তদন্তে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (সিট) গঠন এবং আদালতের নজরদারিতে তদন্তের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি ওই তরুণী ও তাঁর পরিবারের লোকজনকে পুলিশি নিরাপত্তায় উত্তরপ্রদেশে সাজাহানপুরে পৌঁছে দেওয়া এবং তাঁদের নিরাপত্তা রক্ষা করার নির্দেশও দিয়েছে শীর্ষ আদালত। মঙ্গলবারই তাঁকে বাড়িতে পৌঁছে দেবে দিল্লি পুলিশের একটি দল। উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনকে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর বেঞ্চের নির্দেশ, অভিযোগকারিণী ছাত্রীকে অন্য কলেজে ভর্তি করিয়ে তাঁকে আইনের স্নাতকোত্তর পড়াশোনা শেষ করানোর দায়িত্ব নিতে হবে তাঁদের।
কয়েক দিন আগেই ওই তরুণীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই তরুণী একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে দাবি করেন, ‘সন্ত সম্প্রদায়ের এক বর্ষীয়ান নেতা’ তাঁকে যৌন হেনস্থা করছেন। তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ। চিন্ময়ানন্দর নাম না করলেও তরুণীর ইঙ্গিতেই স্পষ্ট, অভিযুক্ত চিন্ময়ানন্দ। তার পরই বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যান ওই তরুণী। এর পর তরুণীর বাবা পুলিশে চিন্ময়ানন্দের নাম করেই অভিযোগ দায়ের করেন।
এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। গত ৩০ অগস্ট সেই মামলার শুনানির দিনই তাঁর খোঁজ মেলে রাজস্থানের জয়পুরে। তড়িঘড়ি তাঁকে শীর্ষ আদালতে পেশ করা হয়। তরুণী দাবি করেছিলেন, প্রাণভয়ে তিনি বাড়ি ছেড়েছিলেন। সোমবার ফের সেই মামলার প্রাথমিক শুনানির পর সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিলেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।
প্রথম শুনানির দিন শীর্ষ আদালতে তরুণী বলেছিলেন, তিনি শাজাহানপুরে ফিরতে চান না। কিন্তু শীর্ষ আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবারই দিল্লি পুলিশ নিরাপত্তা দিয়ে তাঁকে শাজাহানপুরের বাড়িতে পৌছে দিচ্ছে। সাজাহানপুরের এসএসপি-কে শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছে, ওই তরুণী এবং তাঁর পরিবারকে সুরক্ষা দিতে হবে। তদন্তে নজরদারির জন্য এলাহাবাদ হাইকোর্টকে একটি বেঞ্চ গঠনের নির্দেশও দিয়েছে শীর্ষ আদালত। ওই তরুণী যে কলেজে পড়তেন, সেই কলেজের সঙ্গেই যুক্ত চিন্ময়ানন্দর ওই আশ্রম। যোগী আদিত্যনাথ সরকারকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, ওই ছাত্রীকে অন্য কলেজে ভর্তি করে তাঁর আইনের স্নাতকোত্তর পড়াশোনা শেষ করার দায়িত্ব নিতে হবে।