প্রতীকী ছবি।
রাজ্যে রাজ্যে গণপিটুনি বিশেষত, গোরক্ষার নামে হিংসার ঘটনা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানাল সুপ্রিম কোর্ট। একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে শনিবার এ বিষয়ে কেন্দ্র এবং কয়েকটি রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি জেপি পারদিওয়ালাকে নিয়ে গঠিত শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ।
গত কয়েক বছরে দেশের একাধিক রাজ্যে ‘গরু পাচারকারী’ তকমা দিয়ে সংখ্যালঘুদের গণপিটুনির অভিযোগ উঠেছে স্বঘোষিত গোরক্ষকদের বিরুদ্ধে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে আক্রান্তদের মৃত্যুও ঘটেছে। এরই প্রতিবাদে ‘ন্যাশনাল ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান উইমেন’ নামে একটি সংগঠন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই দুই বিচারপতির বেঞ্চ শনিবার কেন্দ্র এবং হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, রাজস্থান, ওড়িশা ও মহারাষ্ট্র সরকারকে নোটিস পাঠিয়ে জবাব চেয়েছে।
গত ২৮ জুন বিহারের সারণ জেলায় গরুর মাংস পাচারের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গণপিটুনির শিকার হতে হয়েছিল। সেই ঘটনার জেরেই নতুন করে শীর্ষ আদালতে দায়ের হয় মামলা। আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী কপিল সিব্বল শনিবার শুনানিপর্বে বলেন, ‘‘বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। অবিলম্বে বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করা উচিত কেন্দ্র এবং সংশ্লিষ্ট রাজ্যের।’’ সমাজমাধ্যমে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে প্ররোচণামূলক প্রচার গণপিটুনির অনুঘটক হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গণপিটুনির ঘটনা রুখতে ২০১৮ সালে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ নতুন আইন প্রণয়নের কথা চিন্তাভাবনা করার পরামর্শ দিয়েছিল নরেন্দ্র মোদী সরকারকে। বিচারপতি এএম খানউইলকরের পাশাপাশি, ওই বেঞ্চে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বর্তমান প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। যদিও ২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদীর জমানায় দেশে গণপিটুনির ঘটনা আদৌ বাড়েনি। নতুন আইনেরও কোনও প্রয়োজন নেই।’’