বাঁ দিক থেকে, ভার্নন গঞ্জালভেস এবং অরুণ ফেরেরা। — ফাইল চিত্র।
মহারাষ্ট্রের ভীমা কোরেগাঁও হিংসা মামলায় ধৃত দুই সমাজকর্মী ভার্নন গঞ্জালভেস এবং অরুণ ফেরেরার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ গত পাঁচ বছর ধরে জেলবন্দি দুই অভিযুক্তকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
জামিন মুক্তির শর্ত হিসাবে গঞ্জালভেস এবং ফেরেরাকে তাঁদের পাসপোর্ট পুলিশের কাছে জমা রাখতে হবে এবং তাঁরা মহারাষ্ট্রের বাইরে কোথায় যেতে পারবেন না বলে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে। পাশাপাশি, এই মামলার তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-কে তাঁদের অবস্থান জানাতে বাধ্য থাকবেন দুই অভিযুক্ত। সুপ্রিম কোর্ট গঞ্জালভেস এবং ফেরেরাকে একটি করে মোবাইল ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। প্রসঙ্গত, বম্বে হাই কোর্ট জামিনের আবেদন খারিজ করে দেওয়ার পরে গত ৩১ ডিসেম্বর দুই অভিযুক্ত সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি মহারাষ্ট্রের ভীমা-কোরেগাঁওয়ে দলিত সংগঠন এলগার পরিষদের বিজয়দিবস অনুষ্ঠান থেকে হিংসা ছড়িয়েছিল। পুলিশের দাবি, সেই ঝামেলায় জড়িত ছিলেন বর্ষীয়ান কবি ভারাভারা রাও, ট্রেড ইউনিয়ন নেত্রী আইনজীবী সুধা ভরদ্বাজ, অধ্যাপক আনন্দ তেলতুম্বে-সহ বেশ কয়েক জন বুদ্ধিজীবী। তদন্তে নেমে মাওবাদীদের একটি চিঠি পাওয়ার দাবি করে পুলিশ জানায়, তাতে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ছকের উল্লেখ ছিল। সেই চিঠিতে ভারাভারার নামও রয়েছে। তার প্রেক্ষিতে গ্রেফতার করা হয় ভারাভারা রাওকে। এর পর মুম্বই, দিল্লি, ফরিদাবাদ, রাঁচী ও গোয়ায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ একে একে গ্রেফতার করেছিল সুধা, গঞ্জালভেস, ফেরারা এবং সমাজকর্মী সুরেন্দ্র গ্যাডলিং ও গৌতম নওলাখাকে। পুলিশের দাবি, তাঁরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হত্যার পরিকল্পনাতেও জড়িত ছিলেন। ওই মামলার তদন্তের ভার পায় এনআইএ। পরবর্তী সময়ে জামিনে ভারভারা, সুধা, নওলাখারা মুক্তি পেয়েছিলেন।