ছবি: সংগৃহীত।
ধর্ম ও ধর্মস্থানে মহিলাদের প্রতি বৈষম্য প্রসঙ্গে কোন কোন বিষয় নিয়ে শুনানি হবে তা স্থির করতে আজ চার জন প্রবীণ আইনজীবীকে বৈঠকে বসার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। ওই ধর্মস্থানগুলির মধ্যে রয়েছে কেরলের শবরীমালা মন্দিরও।
শবরীমালা মন্দিরে সব বয়সের মহিলাদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ার রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি নিয়ে ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে রায় দেয় ৫ সদস্যের বেঞ্চ। সেই রায়ে ওই বেঞ্চ জানায়, ধর্মস্থানে মহিলাদের প্রবেশাধিকার না থাকার বিষয়টি শবরীমালায় সীমাবদ্ধ নয়। মুসলিম মহিলাদের মসজিদ বা দরগায় যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আছে। পার্শী মহিলা সম্প্রদায়ের বাইরের কাউকে বিয়ে করলে পার্শীদের ধর্মস্থানে যাওয়ার ক্ষেত্রেও কিছু নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই সাতটি আইনি প্রশ্ন বৃহত্তর বেঞ্চের বিবেচনার জন্য পাঠায় ওই বেঞ্চ। তার মধ্যে রয়েছে সংবিধানের ২৫ ও ২৬ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত ধর্মীয় স্বাধীনতার মধ্যে সম্পর্ক, কোনও ধর্মীয় আচার আদালত কতটা খতিয়ে দেখতে পারে, ২৫ নম্বর অনুচ্ছেদে হিন্দুদের যে সব গোষ্ঠীর কথা বলা হয়েছে তারা কারা, ওই গোষ্ঠীগুলির মধ্যে একটির ‘অত্যাবশ্যকীয় ধর্মীয় আচার’ ২৬ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত ধর্মীয় স্বাধীনতার মধ্যে পড়ে কি না। সংখ্যাগরিষ্ঠের রায়ে শবরীমালা মন্দির সংক্রান্ত রায়ের পুনর্বিবেচনার আর্জির শুনানি আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বেঞ্চ। ওই আইনি প্রশ্নগুলির মীমাংসার জন্যই ৯ সদস্যের বেঞ্চ গঠন করেছে শীর্ষ আদালত।
আজ ৯ সদস্যের বেঞ্চ জানায়, সেখানে শবরীমালা রায়ের পুনর্বিবেচনার শুনানি হচ্ছে না। ৫ সদস্যের বেঞ্চ যে আইনি প্রশ্নগুলি বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠিয়েছিল সেগুলিরই ফয়সালা করা হবে। বিষয় স্থির হবে চার জন প্রবীণ আইনজীবীর বৈঠকে। কে কোন বিষয়ে সওয়াল করবেন ও কতটা সময় নেবেন তা-ও স্থির করবেন তাঁরা। এই বিষয়গুলি স্থির করতে তিন সপ্তাহ সময় দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তার পরে এই বিষয়ে শুনানি শুরু হবে।
আরও পড়ুন: এনপিআর রুখুন, বিরোধী বৈঠকে ডাক সনিয়াদের