এসবিআইএইচএম স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট বারাসত ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা
আস্তে আস্তে চারিদিকের পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে, তার সঙ্গে সংক্রমণও কিছুটা কমেছে। এবার হয়তো আমরা আনলকের পথে হাঁটতে পারি। এর মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্ট বেরিয়ে গিয়েছে। ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা এবার ভাবছেন কী করবেন? কীভাবে নিজের সন্তানের ভবিষ্যত গড়বেন?
এবছর বিপুল সংখ্যক ছাত্রছাত্রী উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করেছে। সকলের একটাই প্রশ্ন ছাত্রছাত্রী ভর্তির সুযোগ পাবে তো? বর্তমানে ছাত্রছাত্রীরা গতানুগতিক শিক্ষা বিএ, বিকম, বিএসসি আর পড়তে চাইছে না। কারণ এই কোর্সগুলি পাশ করে চাকরির সম্ভাবনা থাকে না বললেই চলে। এখন উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে প্রফেশনাল শিক্ষার দিকে পড়ার প্রবণতা বাড়েছে। এর প্রধান কারণ প্রফেশনাল শিক্ষার শেষে চাকরি পাওয়া খুবই সহজ যদি ছাত্রছাত্রীরা সঠিক প্রফেশনাল কোর্স বেছে ভাল একটি কলেজে ভর্তি হয়। আমাদের রাজ্যে প্রফেশনাল শিক্ষার কলেজের অভাব নেই। সেই কলেজগুলির মধ্যে সব থেকে ভাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বারাসতের এসবিআইএইচএম স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট। এই কলেজ থেকে ছাত্রছাত্রী দেশ ও বিদেশে চাকরি করছে বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থায়। মাস্টার ডিগ্রি, ব্যাচেলার ডিগ্রি, ও ডিপ্লোমা লেভেলে অনেকগুলি কোর্স পড়ানো হয় বারাসত ক্যাম্পাসে।
এসবিআইএইচএম স্কুল অব ম্যানেজমেন্টের শিক্ষার্থীরা
বিবিএ কোর্সটি তিন বছরের কোর্স। পাশ করে চাকরির সুযোগ রয়েছে সরকারি ও বেসরকারি পরিচালিত ব্যাঙ্ক, সিমেন্ট সংস্থা, হোটেল, বিমা, ফার্মা কোম্পানি, এয়ারলাইন্স, হসপিটাল, ও জাহাজ শিল্পে।
বিসিএ হল তথ্যপ্রযুক্তির একটি স্নাতোকত্তর কোর্স। তিন বছরের কোর্স। পাশ করে চাকরি প্রায় নিশ্চিত বলা যায়। এই অতিমারি পরিস্থিতিতেও বিসিএ পাশ করা ছাত্রছাত্রীদের চাহিদা বেড়েই চলেছে। সাধারণত চাকরি পায় দেস ও বিদেশের তথ্য প্রযুক্তি সংস্থায়।
আজকের দিনে প্রবল সম্ভবনাময় শিল্প হল মিডিয়া। যত দিন যাচ্ছে, মিডিয়া সেক্টরে ব্যপ্তি বেড়েই চলেছে। এই শিল্পে চাহিদার তুলনায় যোগান কম। এসবিআইএইচএম বারাসত ক্যাম্পাসে মিডিয়া সায়েন্সের ব্যাচেলর ডিগ্রি পড়ানো হয়। শিক্ষার্থীরা চাকরির সুযোগ পায় সরকারি ও বেসরকারি টিভি, রেডিও, খবরের কাগজ, পাবলিশিং, ফ্লিম ও বিভিন্ন ডিজিটাল মিডিয়ায়।
সকলেই চায় হেলথ কেয়ার সেক্টরে নিজের কেরিয়ার গড়তে। আগে হেলথ কেয়ার সেক্টর বলতে ডাক্তার অথবা নার্সিং বোঝাতো। কিন্তু বর্তমানে হেলথ কেয়ার সেক্টরের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট। হসপিটাল ম্যানেজমেন্টের তিনটি কোর্স হয়। তিন বছরের ব্যাচেলার ডিগ্রি, দু' বছরের মাস্টার ডিগ্রি, এবং দু' বছরের ডিপ্লোমা। এই কোর্সগুলি পাশ করে হেলথ কেয়ার সেক্টরের অপারেশন, নন অপারেশন ডিপার্টমেন্ট চাকরির প্রচুর সুযোগ রয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা চাকরি পায় সরকারি, বেসরকারি মাল্টিস্পেশালিটি, সুপার স্পেশালিটি হসপিটালে। এছাড়া বিভিন্ন হেলথ কেয়ার সেক্টর তো রয়েছেই।
হোটেল এবং হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট কোর্স দু'টির ব্যাচেলার, মাস্টার, ডিপ্লোমা কোর্স পড়ানো হয় এসবিআইএইচএম বারাসত ক্যাম্পাসে। কোর্সগুলি পাশ করে দেশে তো আছেই, বিদেশেও চাকরির সুযোগ প্রচুর। ছাত্রছাত্রীরা ক্যাম্পাস থেকে চাকরি পায় হোটেল, হসপিটাল, ব্যাঙ্ক, ক্রুজলাইন্স, মাল্টিন্যাশনাল হসপিটালিটি সেক্টর, মাল্টিপ্লেক্স, থিমপার্ক, লজিস্টিক, রেলওয়ে, ট্যুরিজম, ফুড প্রসেসিং, কর্পোরেট সংস্থার সার্ভিস ডিপার্টমেন্টের ম্যানেজমেন্টের উচ্চপদে।
ট্রাভেল এন্ড ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্টের সবথেকে ভাল কোর্স হল ব্যাচেলার, মাস্টার, ডিপ্লোমা। এই প্রতিটি কোর্সই এসবিআইএইচএম-এ পড়ানো হয়। ট্য়ুরিজম ম্যানেজমেন্টের যে কোনও কোর্সের শেষে চাকরি পারে ট্রাভেল এন্ড ট্যুরিজম, হেলথ ট্যুরিজম, এয়ারলাইন্স টিকেটিং, ইকোট্যুরিজম, ইন্টারন্যাশনাল ট্য়ুরিজম, অ্যাভিয়েশন, ট্রান্সপোর্ট।
ফ্যাশন টেকনোলজির ব্যাচেলর কোর্সটি হল তিন বছরের। ছয়টি সেমেস্টারে পরীক্ষা দিতে হয়। কেরিয়ার গড়ার সুযোগ রয়েছে ফ্যাশন ডিজাইনার, ফ্যাশন গ্রাফিক্স ডিজাইনার, ইনাস্ট্রেটর, ফ্যাশন কো-অর্ডিনেটর, অ্যাসিট্যান্ট ডিজাইনার, প্রোডাক্ট ম্যানেজার, ফ্যাশন কনসালটেন্ট, ইত্যাদি পদে।
প্রত্যেকটি কোর্স পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিচালিত টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত। শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার জন্য সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে লোন পাবে। এছাড়া এসবিএইচএম স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড লোনের আওতাভুক্ত হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ক্রেডিট কার্ড লোনের সুবিধা নিতে পারে।
কোর্সগুলির জন্য ৬ থেকে ১২ মাসের ইন্টার্নশিপ বাধ্যতামূলক। এসবিআইএইচএম-এর ছাত্রছাত্রীরা শুধুমাত্র ফাইভস্টার, হোটেলে, সুপার স্পেশালিটি হসপিটালে, এয়ারলাইন্সে, ব্যাঙ্কে, এবং কর্পোরেট সংস্থায় ট্রেনিং করে। এখান থেকে পাশ করে ভারত সহ আমেরিকা, কানাডা, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, মরিশাস, দুবাই কুয়েত, কাতার, নিউজিল্যান্ডে কর্মরত।
আমাদের দেশে গড় প্রারম্ভিক বেতন বছরে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এর সঙ্গে পিএফ, বোনাস, সার্ভিস চার্জ, এবং মেডিক্যালের সুবিধা ইত্যাদি থাকে। কিন্তু দেশের বাইরে বেতন প্রায় পাঁচ থেকে ছয় গুণ। প্রত্যেক বছর ফাইনাল ইয়ারের শিক্ষার্থীদের জন্য দেশ ও বিদেশের নামকরা সংস্থাকে নিয়ে আসে ক্যাম্পাস ইন্টারভিউয়ে।
এসবিআইএইচএম স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট থেকে পাশ করে দেশ ও বিদেশের ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি, মিডিয়া হাইজ, ফ্যাশন ডিজাইনার, হোটেল, সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল, এয়ারলাইন্সস ব্যাঙ্ক, ক্রুজলাইন্স, রিয়েল এস্টেট, রিটেল সংস্থায় ম্যানেজমেন্টের উচ্চপদে চাকরি করছে। আরও বিস্তারিত জানতে ফোন করুন ৮২৪০৯০২০৫২ নম্বরে। সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন এসবিআইএইচএম স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট, কাজী বাড়ি, বারাসত ব্যরাকপুর রোড, কলকাতা - ১২৬। ফোন - ৯৯০৩২২৭১৮৫। ওয়েব সাইট www.sbihmit.com।