অভিযোগ, নাবালিকা টিউশন পড়তে গেলে অভিযুক্ত তার উদ্দেশে নানা রকম টিপ্পনী করতেন। প্রতীকী চিত্র।
এক নাবালিকার পিছু নেওয়া এবং তাকে দেখে ‘আজা, আজা’ বলে ডাকায় এক অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করল মুম্বইয়ের আদালত। যদিও দোষীকে নতুন করে জেলে থাকতে হবে না। কারণ, ইতিমধ্যে তিনি বেশ কিছু দিন কারাবাসে ছিলেন। সেটা দিয়েই সাজা পূরণ হয়েছে বলে জানালেন বিচারক।
অভিযোগ, নাবালিকা টিউশন পড়তে গেলে অভিযুক্ত তাকে উদ্দেশ্য করে নানা রকম টিপ্পনী করতেন। ছাত্রীকে দেখে ‘আজা, আজা’ (আয়, আয়) বলে গান গাইতেন। তার পিছুও নিতেন। নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগ, ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে তাঁর মেয়ে এক দিন সাইকেল চালিয়ে পড়তে যাচ্ছিল। সেই সময় যুবক তাকে দেখে গান করেন। পিছুও নেন। ভয় পেয়ে যায় তাঁর নাবালিকা মেয়ে। এক বার স্থানীয়দের ভয়ে পালিয়েছিলেন যুবক। কিন্তু তার পর সেই একই ঘটনা। দিনের পর দিন ছাত্রীটির পড়তে যাওয়ার সময় ওই একই জায়গায় দাঁড়িয়ে তাকে দেখে অঙ্গভঙ্গি করতেন। গান গাইতেন।
দিনের পর দিন এই ঘটনায় মেয়েটি অতিষ্ঠ হয়ে বাবা-মাকে জানিয়েছিল। এর পর পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁরা। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ডি এবং পকসো আইনে মামলা রুজু করে পুলিশ। যদিও পুলিশের কাছে অভিযুক্ত সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। মামলা গড়ায় আদালতে।
মুম্বইয়ের একটি নিম্ন আদালতের বিচারক এজে খানের পর্যবেক্ষন, ৩২ বছরের অভিযুক্ত যে কাজ করেছেন, তা যৌন হেনস্থার শামিল। তাই তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হচ্ছে।