দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী (বাঁ-দিকে) সত্যেন্দ্র জৈনের সমর্থনে আবারও মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। ফাইল চিত্র।
আর্থিক দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনের সমর্থনে আবারও মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। সত্যেন্দ্রকে ‘দেশপ্রেমিক’ বলে উল্লেখ করেন কেজরী। তাঁর মতে, সত্যেন্দ্রকে পদ্ম-সম্মান দেওয়া উচিত।
কোটি কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে সোমবার সত্যেন্দ্রকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর (ইডি)। আম আদমি পার্টি (আপ)-র ওই নেতা আপাতত ৯ জুন পর্যন্ত ইডি-র হেফাজতে থাকবেন। ইডি-র মামলাকে ‘ভুয়ো’ বলে দাবি করে সত্যেন্দ্রর গ্রেফতারিকে ‘রাজনৈতিক ভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ আখ্যা দিয়েছিলেন কেজরী। বুধবার তাঁর আরও দাবি, ‘‘সত্যেন্দ্র দেশপ্রেমিক এবং সত্যনিষ্ঠ মানুষ। দেশবাসীর তাঁর জন্য গর্ব হওয়া উচিত।’’ দিল্লিতে ‘মহল্লা ক্লিনিক’ চালুর নেপথ্য কারিগর হিসাবে সত্যেন্দ্রর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন কেজরী। তাঁর মতে, ‘‘সত্যেন্দ্রর বিরুদ্ধে সকলকে তদন্ত করতে দিন। তবে ওঁকে পদ্মবিভূষণ প্রদান করা উচিত। ইতিমধ্যেই তাঁকে ছাড়পত্র দিয়েছে সিবিআই। ইডি-ও একই কাজ করবে।’’
প্রসঙ্গত, ২০১৫-’১৭ সালের মধ্যে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন বিপুল সম্পত্তি করেছেন বলে সত্যেন্দ্রর বিরুদ্ধে অভিযোগ ইডি-র। আদালতে ইডি-র আইনজীবী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার দাবি ছিল, ওই সময়ের মধ্যে আয়-বহির্ভূত প্রায় ১.৬৭ কোটি টাকার সম্পত্তি করেছিলেন সত্যেন্দ্র। এমনকি, হাওয়ালার মাধ্যমে তা কলকাতার কিছু ভুয়ো সংস্থায় পাঠাতেন। সেই সব সংস্থার নিয়ন্ত্রক আসলে সত্যেন্দ্র স্বয়ং। এই অভিযোগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে সত্যেন্দ্র, তাঁর স্ত্রী ইন্দু এবং তাঁদের আত্মীয়দের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। এর পর সোমবার সত্যেন্দ্রকে গ্রেফতার করে ওই কেন্দ্রীয় সংস্থা।
আপ-মন্ত্রীর পাশে দাঁড়ানোয় কেজরীকে কটাক্ষ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেত্রী স্মৃতি ইরানি। বুধবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে নেটমাধ্যমে তাঁর প্রশ্ন, ‘কেজরিজি, এটা কি সত্যি যে ২০১৬ সালে আয় ঘোষণা করতে গিয়ে সত্যেন্দ্র জৈন নিজেই জানিয়েছিলেন যে ১৯.৩৯ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতিতে তিনি জড়িত ছিলেন?’ অঙ্কুশ এবং বৈভব জৈনের মাধ্যমে ওই ‘কালো টাকা’ সরানো হলেও তার আসল মালিক সত্যেন্দ্র বলেই দাবি স্মৃতির। ওই টাকায় সত্যেন্দ্র ২০০ বিঘা জমিও কিনেছেন বলে অভিযোগ তাঁর। স্মৃতির অভিযোগের পাল্টা জবাব না দিলেও কেজরীর দাবি, ‘‘আমরা দুর্নীতি বরদাস্ত করি না। কোনও দিনই তা করব না।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।