Viral

শাড়ি পরে হেলায় লুফছেন ডাম্বেল, ছাপ্পান্নর মহিলার অনায়াস ‘পুশ আপ’ দেখে মুগ্ধ সকলে

পায়ে ও হাঁটুতে প্রবল ব্যথা হত মহিলার। ছেলে গবেষণা করে দেখিয়ে দেন, নিরাময়ের একমাত্র পথ দৈনিক শরীরচর্চা। তার পরেই বৌমাকে সঙ্গে নিয়ে শুরু মহিলার শরীরচর্চার পালা। ব্যথাও উধাও!

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২২ ২৩:২৬
Share:

৫৬ বছর বয়সেও ফিট মহিলা।

প্রবাদ বলে, চল্লিশ পেরোলেই চালশে। কিন্তু ছাপ্পানর শাড়ি পরিহিতা যখন অনায়াস দক্ষতায় ভারী ভারী ডাম্বেল লুফছেন, তখন প্রবাদকে মিথ্যে বলেই মনে হয়। এখন সেই ভিডিয়োতেই মজেছে সমাজমাধ্যম। চেন্নাইয়ের জিমে এখন তিনিই আলোচনার কেন্দ্রে।

Advertisement

পায়ে আর হাঁটুতে ব্যথা। সাধারণত ভারতীয় উপমহাদেশে মহিলাদের পঞ্চাশ বছর পেরলেই এই সমস্যা ঘরে ঘরে। ভাইরাল হওয়ার ভিডিয়োর মুখ্য চরিত্রও তেমনই সমস্যায় ভুগছিলেন। বয়স তখন বাহান্ন। ছেলের বৌকে রোজ শরীরচর্চা করতে দেখে হাঁটুর ব্যথায় কাতর শাশুড়িও উৎসাহ প্রকাশ করেন। সেই শুরু। তার পর থেকে বছরের পর জিমে গিয়ে নিজেকে শুধু ‘ফিট’ই রাখছেন না, অন্যদের অনুপ্রেরণাও হয়ে উঠছেন।

জিমে তাঁর শরীরচর্চারই একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। তাতে ওই মহিলা লিখেছেন, ‘‘আমি এখন ছাপ্পান্ন, কিন্তু এখনও নিয়মিত শরীরচর্চা করি। তোমার যা ইচ্ছে, তা করতে যেন বাধা হয়ে না দাঁড়ায় তোমার পোশাক। বৌমা এবং আমি রোজ শরীরচর্চা করি। আমার যখন বাহান্ন বছর বয়স, আমি জিমে ভর্তি হই। আসলে, পায়ে আর হাঁটুর প্রচণ্ড ব্যথায় ভুগছিলাম, তা থেকেই এ সবের শুরু।’’

Advertisement

তার পর তিনি লিখেছেন, ‘‘আমার ছেলে গবেষণা করে বার করেছে, আমার যা সমস্যা তার একমাত্র নিরাময় সম্ভব শরীরচর্চা দিয়ে। ওর জিমেই বৌমাকে নিয়ে তাই আমি শরীরচর্চা করি, পাওয়ার লিফটিং করি, স্কোয়াট প্রভৃতি করি। হ্যাঁ, সমস্ত ব্যথাবেদনা সম্পূর্ণ দূর হয়ে গিয়েছে।’’বয়স ছাপ্পান্ন হলেও মহিলার অদম্য মনের জোর আর শাড়ি পরে অনায়াসে কঠিন কঠিন কসরত করা দেখে হতবাক সমাজমাধ্যমও। অনেকেই বলছেন, ওই শাড়ি পরিহিতাকে দেখে তাঁরাও নিজেদের সুস্থ রাখতে শরীরচর্চা শুরু করতে চান। সব মিলিয়ে, শাড়ি পরিহিতায় মুগ্ধ আট থেকে আশি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement