সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত ফাইল ছবি
আগামিকাল থেকে চার দিনের জন্য উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে শুরু হচ্ছে সঙ্ঘ পরিবারের কার্যসমিতির সভা। গত বিজয় দশমীর দিন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত দলকে যে দিশা-নির্দেশ দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নের পরিকল্পনা ঠিক করতে বৈঠকে বসতে চলেছেন সঙ্ঘ নেতারা।
এ বছরের বিজয়া দশমীতে মূলত ধর্মভিত্তিক সামাজিক ভারসাম্য বজায় রাখা, মাতৃভাষায় শিক্ষার মতো বিষয়গুলি নিয়ে বক্তব্য রেখেছিলেন ভাগবত। আজ সঙ্ঘ পরিবারের মুখপাত্র সুনীল অম্বেকর বলেন, ‘‘বিজয়া দশমীতে যে বিষয়গুলি নিয়ে সঙ্ঘ প্রধান বক্তব্য রেখেছিলেন, সেগুলি যাতে আগামী দিনে রূপায়িত করা সম্ভব হয়, তা নিয়েই বৈঠকে মূলত আলোচনা হবে।’’ পাশাপাশি ২০২৫ সালে দলের একশো বছর পূর্তি অনুষ্ঠান পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। যার প্রস্তুতি দ্রুত শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বর্তমানে শাখার প্রায় ৫৫ হাজার দফতর রয়েছে, যা বাড়িয়ে এক লক্ষ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যার ভারসাম্যের উপরে জোর দিতে গিয়ে ভাগবত জানিয়েছিলেন, ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যার ভারসাম্যের অসাম্য ভৌগোলিক সীমানা পরিবর্তনের দিকে নিয়ে যায়। জনসংখ্যার ভারসাম্য না থাকলে টান পড়ে দেশের রসদেও। তাই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সঙ্ঘ পরিবার দীর্ঘ সময় ধরে আইনের পক্ষে সওয়াল করলেও ক’দিন আগেই সরকার জানিয়েছিল, জন্ম নিয়ন্ত্রণে ভাল ফল করায় সরকার ওই বিল আনার কথা ভাবছে না।
সরকারের দাবি, ২০২৫ সালে দেশে জাতীয় গর্ভধারণের যে হার সরকার স্থির করেছিল, তা নির্দিষ্ট সময়ের আগে ছুঁয়ে ফেলা সম্ভব হবে। সরকার ওই দাবি করলেও, আগামী দিনে আইন করে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের পক্ষে সঙ্ঘ পরিবার। সঙ্ঘের যুক্তি, জন্মহার যা কমেছে, তা মূলত কমেছে হিন্দু সমাজেই। মুসলিম সমাজে জন্মহার কমার হার হিন্দুদের তুলনায় নগণ্য। সঙ্ঘ নেতাদের একাংশ মনে করেন, এই গতিতে চললে জনসংখ্যার বিস্ফোরণের মাধ্যমে আগামী দিনে দেশে সংখ্যাগুরু হয়ে দাঁড়াবে মুসলিমেরা। সেই কারণে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন আনার পক্ষপাতী সঙ্ঘ পরিবার। তাই সঙ্ঘ প্রধানের দেখানো পথেই আগামিকাল থেকে চার দিন জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে জন্মনিয়ন্ত্রণ আইন আনার বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসতে চলেছে সঙ্ঘ পরিবার।