সমাজবাদী সাংসদ সৈয়দ তুফায়েল হাসান।
বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বৈঠকে মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ করার প্রস্তাব পাশ হওয়ার পরেই বিরোধিতায় সরব হয়েছেন সমাজবাদী পার্টির একাধিক নেতা। অখিলেশ যাদবের দলের দু’জন সাংসদ সৈয়দ তুফায়েল হাসান এবং সফিকুর রহমান বার্কের মন্তব্য ঘিরে দানা বাঁধল বিতর্ক।
হাসানের দাবি, ‘‘১৬ বছরেই মেয়েরা বিয়ের উপযুক্ত হয়ে যায়।’’ আর এক সাংসদ সফিকুরের মতে, ভারতীয় অভিভাবকেরা অল্প বয়সেই মেয়ের বিয়ে দিতে চান।
মেয়েদের বিয়ের বয়স বাড়ানোর আইনি উদ্যোগের বিরোধিতা করে সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে হাসান বলেছেন, ‘‘মহিলারা ১৬-১৭ বছর থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত সন্তানের জন্ম দিতে পারেন। বয়স বেশি হলে দু’ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রথমত, বন্ধ্যাত্বের সম্ভাবনা। দ্বিতীয়ত, সন্তান প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগেই বৃদ্ধ হয়ে যাওয়া। হতেই পারে যখন আপনি জীবনের শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছেন, তখনও আপনার সন্তান ছাত্রাবস্থায়! আমরা প্রকৃতির নিয়ম ভেঙে দিচ্ছি।’’
অন্য দিকে সফিকুর বলেন, ‘‘ভারত একটি গরিব দেশ। প্রত্যেকেই দ্রুত তাঁদের মেয়ের বিয়ে দিতে চান। কেন্দ্র যদি সংসদে মেয়ের বিয়ের বয়সের বিল আনে তবে আমরা তা সমর্থন করব না।’’
সমাজবাদী প্রধান অখিলেশ অবশ্য এ বিষয়ে বিতর্ক এড়াতে চেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘ওঁরা (হাসান এবং সফিকুর) যা বলেছেন, সেটা ওঁদের ব্যক্তিগত মত, দলের অবস্থান নয়।’’ প্রসঙ্গত, গত বছরের জুনে কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে। যার নেতৃত্বে ছিলেন সমতা পার্টির প্রাক্তন সভাপতি জয়া জেটলি। এ মাসেই রিপোর্টে পেশ করে সেই কমিটি। সেই রিপোর্টে বিয়ের ন্যূনতম বয়স ২১-এর পক্ষে রাখার বিষয়ে মত দেওয়া হয়েছে।