বেতনও কি বন্ধ হবে রাহুলের? — ফাইল চিত্র।
লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার সিদ্ধান্তে লোকসভার সদস্য পদ হারিয়েছেন রাহুল গান্ধী। এর ফলে তাঁর বেতন-সহ সাংসদ হিসাবে অন্যান্য সুবিধা বন্ধ হয়ে যাবে কি না এবং গেলে কবে থেকে তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি। এই প্রসঙ্গে জেনে নেওয়া যাক, ভারতে এক জন সাংসদ কত বেতন পান। বাকি সুবিধাই বা কী কী দেওয়া হয়।
কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ম অনুযায়ী বাকি মন্ত্রীরা তো বটেই প্রধানমন্ত্রীর মূল বেতনও এক জন সাংসদের সমান। কারণ, তিনিও প্রথমে সাংসদ, পরে প্রধানমন্ত্রী। প্রতি পাঁচ বছর অন্তর বদলায় সাংসদদের বেতন ও অন্যান্য ভাতার পরিমাণ। এখন মূল বেতন ১ লাখ টাকা। সেই সঙ্গে সংসদীয় এলাকা ভাতা পাওয়া যায় ৭০ হাজার টাকা। অফিস চালানোর খরচ ৬০ হাজার টাকা। এর মধ্যে অফিসের খরচ ২০ হাজার আর কর্মীদের বেতনের জন্য বরাদ্দ ৪০ হাজার টাকা।
এই পর্যন্ত সাধারণ সাংসদ, প্রধানমন্ত্রী থেকে পূর্ণমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সাংসদদের বেতন কাঠামো এক। এর পরে বদল অতিথি আপ্যায়ন বাবদ খরচে। এই খাতে প্রধানমন্ত্রী মাসে পান ৩ হাজার টাকা। পূর্ণমন্ত্রীরা ২ হাজার এবং প্রতিমন্ত্রীরা ১ হাজার টাকা। সাধারণ সাংসদরা অবশ্য এই খাতে কোনও টাকা পান না। সর্বমোট হিসাবে প্রধানমন্ত্রী মাসে পান ২ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। পূর্ণমন্ত্রীরা ২ লাখ ৩২ হাজার এবং প্রতিমন্ত্রীরা পান ২ লাখ ৩১ হাজার টাকা।
সাংসদদের বেতন, ভাতা এবং পেনশন আইন, ১৯৫৪ অনুসারে অর্থ ও সুবিধা পান সাংসদেরা। বেতন ছাড়াও সাংসদেরা দিল্লিতে একটি বিনা ভাড়ার বাংলো পান। বিনামূল্য ৫০ হাজার ইউনিট বিদ্যুত্ও পেয়ে থাকেন সাংসদেরা। সেই সঙ্গে দু’টি বিনাখরচের ল্যান্ডলাইন ফোন। দেড় লক্ষ ফ্রি ফোন কলের সুবিধা পান সাংসদেরা। দেশের যে কোনও জায়গায় এসি ট্রেনে যাতায়াত করতে পারেন বিনা খরচে। সঙ্গে বিজনেস ক্লাসে বিমান ভ্রমণ করতে পারেন দেশের যে কোনও জায়গায়। সব মিলিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এক জন সাংসদের জন্য মাসে ৩ লাখ টাকার বেশি খরচ করে।
প্রসঙ্গত, করোনাকালে এক বছর প্রধানমন্ত্রী-সহ মন্ত্রিসভার সদস্য কিংবা রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, রাজ্যপালেরাও ৩০ শতাংশ বেতন কম পেয়েছেন। ২০২০ সালের ৬ এপ্রিল সাংসদদের বেতনও কমিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে ২০২০ সালের ১ এপ্রিল থেকে এক বছরের জন্য সাংসদদের মাসিক বেতন কমে হয়ে যায় ১ লাখ ৭৩ হাজার টাকা।