সজ্জন কুমার।
বহিষ্কার করতে হল না। শিখ-বিরোধী দাঙ্গার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমার নিজেই দল থেকে ইস্তফা দিলেন। দিল্লি হাইকোর্ট সজ্জনকে সাজা দিলেও তার কৃতিত্ব নিতে আজ মাঠে নেমে পড়লেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, সজ্জন আজ নিজেই দলের সভাপতি রাহুল গাঁধীকে চিঠি লিখে জানান, ‘আমার বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে আমি দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করছি।’ দলের নির্দেশেই সজ্জনের এই পদক্ষেপ বলে কংগ্রেস সূত্রের দাবি।
সোমবার দিল্লি হাইকোর্ট ১৯৮৪-র শিখ-বিরোধী দাঙ্গার মামলায় সজ্জন কুমারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়ার পরে বিজেপি কংগ্রেসকে নিশানা করা শুরু করেছিল। শিখ-বিরোধী দাঙ্গায় আর এক ‘অভিযুক্ত’ কমল নাথকে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী করা নিয়েও প্রশ্ন তোলে বিজেপি। কংগ্রেসের সিংহভাগ নেতা ও অন্য বিরোধীরাও চাইছিলেন, অবিলম্বে সজ্জনের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করুক কংগ্রেস। না হলে মোদী সরকার তথা বিজেপি-র বিরুদ্ধে যে হাওয়া তৈরি হয়েছে, তা উল্টোদিকে ঘুরে যেতে পারে। তারপরেই সজ্জনকে পদত্যাগ করতে বলা হয়। আজ এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলেও কোনও মন্তব্য করতে চাননি রাহুল গাঁধী। কংগ্রেসকে নিশানা করার পাশাপাশি সজ্জন কুমারের শিখ-বিরোধী দাঙ্গায় সাজা হওয়ার কৃতিত্বও বিজেপি নিতে চাইছে। আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেই বোঝাতে চেয়েছেন, তাঁর সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতায় রয়েছে বলেই সজ্জন কুমার শাস্তি পেলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘চার বছর আগে কেউ ভাবতেই পারতেন না, কংগ্রেস নেতারা ১৯৮৪-র দাঙ্গায় শাস্তি পাবেন, মানুষ বিচার পাবেন।’’
গত কাল বিজেপি নেতা রাম মাধবও দাবি করেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের উদ্যোগেই সজ্জনের শাস্তি সম্ভব হল। তিনিই ধামা চাপা রাখা মামলা নতুন করে চালু করেছিলেন। কংগ্রেস নেতা বা আইনজীবীরা মোদী সরকার তথা বিজেপির এই দাবি মানতে নারাজ। আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ের যুক্তি, ‘‘সিবিআই ২০১০-এ চার্জশিট দায়ের করেছিল। সজ্জন ২০১৩-তে ছাড়া পান। সিবিআই তার বিরুদ্ধে ২০১৩-তেই আর্জি জানায়। রাজনাথ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হন ২০১৪-র মে মাসে।’’