লীলাবতি হাসপাতালে করিনা কপুর খান। ছবি পিটিআই।
অস্ত্রোপচারের পরে সম্পূর্ণ বিপন্মুক্ত সেফ আলি খান। তাঁর শারীরিক অবস্থাও সম্পূর্ণ স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালের চিকিৎসক নিতিন ডাঙ্গে। দুষ্কৃতীর ছুরিতে আহত সেফের অস্ত্রোপচার করেছেন ২৫ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই স্নায়ু-শল্য চিকিৎসকই।
সেফের শরীরের নানা জায়গায় ক্ষত রয়েছে। আজ অস্ত্রোপচারের পরে তাঁকে আইসিইউ-তে রাখা হয়েছে। তবে ঘনিষ্ঠেরা জানাচ্ছেন, আগামিকালই সেফকে সাধারণ শয্যায় সরানো হতে পারে। বস্তুত, হাসপাতালের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) নীরজ উত্তমানিও বলেছেন, দু’-এক দিনের মধ্যেই সেফকে নন-আইসিইউ ওয়ার্ডে সরানোর বিষয়টি নিয়ে তাঁরা আশাবাদী। সেফের একশো শতাংশ সেরে ওঠারই লক্ষণ রয়েছে।
গত কাল রাতে বড় ছেলে ইব্রাহিম সইফকে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে আসার পরে চিকিৎসকেরা দেখেন, ৫৪ বছরের অভিনেতার পিঠের দিকে মেরুদণ্ডে গভীর ক্ষত রয়েছে। বাঁ হাতের দু’জায়গায় এবং গলাতেও গভীর ক্ষত। স্নায়ু-শল্য চিকিৎসক নিতিন ডাঙ্গে, কসমেটিক সার্জন লীনা জৈন এবং অ্যানাস্থেশিয়োলজিস্ট নিশা গান্ধী-সহ চিকিৎসকদের একটি দল প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে সইফের অস্ত্রোপচার করে। হাসপাতালের সিওও বলেন, “ওঁর ছ’টি আঘাত ছিল। দু’টি ছোট, দু’টি মাঝারি এবং দু’টি গভীর। তার মধ্যে একটি ক্ষত শিরদাঁড়ার কাছাকাছি।” ডাঙ্গে বলেন, “ছুরির প্রায় আড়াই ইঞ্চি লম্বা একটি টুকরো বিঁধে ছিল সেফের শিরদাঁড়ায়। তার ফলে মেরুদণ্ডের ভিতর থেকে ‘সেরিব্রো স্পাইনাল ফ্লুইড’ বেরিয়ে আসছিল। ছুরির টুকরোটি বার করার পাশাপাশি সেই তরল বেরিয়ে আসাও বন্ধ করা গিয়েছে। বাঁ হাত এবং গলার ডান দিকের আঘাতের জায়গায় প্লাস্টিক সার্জারি করা হয়েছে।”
অস্ত্রোপচারের পরে সেফের তরফে এক বার্তায় জানানো হয়, তাঁর বিপদ কেটেছে। চিকিৎসকেরা তাঁর স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখছেন। পরিবারের সবাই নিরাপদে আছেন। ভক্ত, শুভানুধ্যায়ী ও চিকিৎসকদের ধন্যবাদ দিয়েছেন তাঁরা। দিনভর সইফের উদ্দেশে শুভেচ্ছাবার্তা এসেছে বিভিন্ন জগৎ থেকে। সইফকে নিয়ে উদ্বিগ্ন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। এক্স হ্যান্ডলে মমতা লেখেন, ‘আইন নিজের পথে চলবে এবং দোষীদের ধরা যাবে, এই বিশ্বাস রাখছি। এই কঠিন সময়ে শর্মিলাদি, করিনা কপূর ও গোটা পরিবারের সঙ্গে রয়েছে আমার প্রার্থনা।’