নিজস্ব চিত্র
আপাতত দলবদলের জল্পনা উড়িয়ে দিলেন ‘বিক্ষুব্ধ’ কংগ্রেস নেতা সচিন পাইলট। জানালেন, উচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করতেই তাঁর এই সফর।
কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে শুক্রবার রাতে হঠাৎই দিল্লিতে হাজির হন রাজস্থানের কংগ্রেস নেতা সচিন পাইলট। আর তাঁর এই যাত্রার আগেই প্রাক্তন কংগ্রেস ও অধুনা বিজেপি নেত্রী রীতা বহুগুণা জোশী বললেন, ‘‘কংগ্রেসের দরজার কাছে দাঁড়িয়ে আছেন সচিন। দ্রুত বিজেপি-তে যোগ দেবেন তিনি। এই নিয়ে কথা বলেছেন আমার সঙ্গে।’’ যদিও বিজেপি নেত্রীর দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন সচিন। বলেছেন, ‘‘ওঁর আমার সঙ্গে কথা বলার সাহস নেই। নিশ্চয়ই সচিন তেন্ডুলকরের সঙ্গে কথা বলেছেন, আমার সঙ্গে নয়!’’ সচিন জানিয়েছেন, তিনি দিল্লি যাচ্ছেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলতে। তাঁর যে দাবি কংগ্রেস নেতৃত্ব সমাধানের আশ্বাস দিয়েছিলেন, তা কেন মেটানো হচ্ছে না, সে কথা জানাতে গিয়েছেন তিনি।
গত বছর জুলাই মাসে রাজস্থান সরকার সংকটের মুখে পড়ে। সে সময়ও দিল্লি উড়ে যান সচিন। নিজের অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে দিল্লিতে থাকেন। কথা বলেন শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে। তারপর দাবি জানিয়ে ফিরে আসার পর সাময়িক ভাবে ক্ষোভ প্রশমিত হয়। কিন্তু তখন যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তা এখনও কেন পূরণ করা হল না, এ বার সেই দাবিই দিল্লিতে তুলতে পারেন সচিন। এ ছাড়াও, গহলৌত সরকারে নিজের শিবিরের কয়েকজনকে মন্ত্রী করার দাবিও তুলতে পারেন তিনি। এখন রাজস্থান সরকারের ৯ জন মন্ত্রীর পদ খালি রয়েছে। এক দিকে গহলৌত বলছেন, তাঁকে সমর্থন জানানো নির্দল বিধায়কদের এই মন্ত্রিসভায় আনতে হবে, অন্য দিকে এই আসনের জন্য লড়ছেন সচিনও। এ নিয়ে ফের শুরু হয়েছে দ্বন্দ্ব। এর মধ্যে কংগ্রেস নেতা জিতিন প্রসাদের দলত্যাগের পর ফের বিজেপি দলবদলের ধুয়ো তুলেছে। বিজেপি নেত্রী রীতা বলেছেন, জিতিনের পথ ধরে সচিনও বিজেপি-তে আসতে চলেছেন। যদিও, সে কথা একেবারে উড়িয়ে দিয়েছেন সচিন।