সচিন পাইলট। —ফাইল চিত্র।
ভোটমুখী রাজস্থানে কংগ্রেসের জন্য অনেকটাই স্বস্তির খবর— একটি সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলট জানিয়েছেন, কংগ্রেসে ঐক্যের বাতাবরণ ফিরিয়ে এনে বিধানসভা ভোটের লড়াইয়ে ঝাঁপাতে চান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের টানাপড়েন প্রসঙ্গে সচিন বলেছেন, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে তাঁকে ‘ক্ষমা আর ভুল যাওয়া’র নীতি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। দলের হাইকমান্ডের সেই ‘নির্দেশ’ মেনে নিয়েছেন তিনি।
রাজস্থানে বিধানসভা ভোটের আগে রণকৌশল ঠিক করতে প্রদেশ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন এআইসিসি-র শীর্ষ নেতারা। এরপরেই সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছেন পাইলট। বলেছেন, ‘‘মল্লিকার্জুন খড়্গে আমাকে বলেছেন, ক্ষমা করো আর ভুলে যাও-এর নীতি নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলতে। এটা যেমন দলের পরামর্শ তেমনি নির্দেশও।’’ সচিনের কথায়, ‘‘অশোক গহলৌতজি আমার থেকে বয়সে অনেক বড়। কাজের অভিজ্ঞতাও তাঁর বেশি। আমি যখন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ছিলাম, তখন সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলার চেষ্টা করেছি। আশাকরি মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত এখন সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলার চেষ্টা করবেন।’’ এককদম এগিয়ে পাইলটের মন্তব্য,‘‘যদি ছোটখাটো কোনও জটিলতা এসে যায়, সেটা বড় কোনও ব্যাপার হবে না। কারণ, কোনও ব্যক্তির থেকে দল এবং মানুষের স্বার্থ অনেক উপরে। এটা আমিও বুঝতে পেরেছি, তিনিও (গহলৌত) বুঝেছেন।’’
সচিনের এতদিনের ক্ষোভ ছিল, বসুন্ধরা রাজে সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগগুলি নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করছে না গহলৌত সরকার। এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সচিন বলেন, বৈঠকে খড়্গে তাঁকে বলেছেন, যে সময় চলে গিয়েছে তা ফিরে আসবে না। ফলে সবাইকে ভবিষ্যতের কথা ভেবেই এগোতে হবে। সচিনের কথায়, ‘‘দেশ এখন চাইছে, কংগ্রেস ভাল ফল করুক। রাজস্থানের মানুষের আশীর্বাদ নিতে হবে আমাদের। আর সেজন্য সবাইকে এক জোট হয়ে এগোতে হবে— সেই কাজই করতে হবে— মানুষ আর দল যা চাইছে।’’ সচিনের দাবি, রাজনীতিতে তিনি কারও বিরুদ্ধে কখনও কোনও অপশব্দ ব্যবহার করেননি। গহলৌতের সঙ্গে তাঁর মতভেদ সরিয়ে রেখে তিনি বলেছেন, ‘‘ ভোটে জেতা এখন আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ। এখানে কোনও ব্যক্তির আবেগ বড় কথা নয়।’’
এ বছরের শেষে রাজস্থানে বিধানসভা ভোট। কংগ্রেস ইঙ্গিত দিয়েছে, ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রীর প্রার্থী ঘোষণা করা হবে না। এআইসিসিতে সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কেসি বেণুগোপাল বলেছেন, ভোটের আগে তাঁদের দল মুখ্যমন্ত্রী পদের প্রার্থী ঘোষণা করে না। সেই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে সচিন বলেন, ‘‘ বেণুগোপালজি ঠিকই বলেছেন। যখনই আমাদের ভোটে যেতে হয়, কোনও ব্যক্তির নাম সেখানে বড় হয় না। ২০১৮ সালে ভোটের সময় আমি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ছিলাম। ঐক্যবদ্ধ ভাবে ভোটের লড়াই লড়েছি। তখনও বলা হয়নি কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন। সেই সিদ্ধান্ত ভোটের পরেই ঠিক হয়ে থাকে।’’