শবরীমালা মন্দিরের পরিস্থিতি নিয়ে তরজায় জড়ালেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ ও কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।
শবরীমালা মন্দিরের পরিস্থিতি নিয়ে তরজায় জড়ালেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ ও কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।
কেরল সরকার আয়াপ্পন ভক্তদের সঙ্গে নির্দয় ব্যবহার করছে বলে মঙ্গলবার অভিযোগ এনেছেন অমিত। রাশিয়ায় জোসেফ স্তালিনের জমানার গুলাগ ক্যাম্পে বন্দিদের উপর অত্যাচারের সঙ্গে শবরীমালায় যাওয়া পূণ্যার্থীদের তুলনা টেনে তিনি এ দিন একাধিক টুইট করেন। অমিত লিখেছেন, ‘‘শবরীমালার মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে রাজ্য সরকারের মনোভাব হতাশার সৃষ্টি করছে। তরুণী থেকে বৃদ্ধা— সকলের সঙ্গেই অমানবিক আচরণ করছে পুলিশ। পূণ্যার্থীদের জন্য খাবার, জল, থাকার জায়গা এমনকি পরিষ্কার শৌচাগারের ব্যবস্থা পর্যন্ত নেই।’’ আয়াপ্পন ভক্তদের দুরবস্থার কথা তুলে ধরে তাঁর মন্তব্য, ‘‘খবর আসছে যে ভক্তদের ডাস্টবিনের পাশে শূকরের নোংরা করা জায়গার ধারে রাত কাটাতে হচ্ছে।’’ বিজেপি সভাপতির হুঁশিয়ারি, এ সব যদি সত্যি হয়, তা হলে বিজয়নকে বুঝতে হবে আয়াপ্পন ভক্তদের তিনি গুলাগের বন্দিদের মতো করে দেখতে পারেন না। ভক্তদের আস্থা নিয়ে সরকারকে অপমান করতে দেওয়া হবে না।
সঙ্ঘ পরিবারকে পাল্টা আক্রমণ করেছেন বিজয়নও। কংগ্রেসকেও ছেড়ে কথা বলেননি তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, বিজেপি শবরীমালা নিয়ে রাজনীতির লাভ খুঁজছে। সঙ্ঘ পরিবার ‘করসেবক’ পাঠিয়ে মন্দিরের দখল নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। ‘শবরীমালা নিয়ে সঙ্ঘ ও কংগ্রেস এক হয়ে গিয়েছে’ এবং ‘এআইসিসি ও প্রদেশ কংগ্রেস ভিন্ন পথে এগোচ্ছে’ বলে দাবি করেন বিজয়ন।
রাজনীতির টানাপড়েনের মধ্যেই গুজবকে কেন্দ্র করে আজ শবরীমালা পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। রটে যায়, অন্ধ্রের এক দম্পতি মন্দিরে পৌঁছচ্ছেন। তাঁদের বাধা দিতে এরুমেলি এলাকায় বিরাট সংখ্যায় ভক্ত জড়ো হয়। শেষ পর্যন্ত ওই দম্পতি জানান, শবরীমালায় যাওয়ার কোনও পরিকল্পনাই তাঁদের নেই।