আমেরিকার বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ছবি পিটিআই।
গত কাল রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের ডাকা জরুরি বৈঠকের ফাঁকে আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং আমেরিকার বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। আমেরিকার বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘‘দুই নেতাই কাবুল নিয়ে আদানপ্রদান এবং সমন্বয় চালিয়ে যাবেন।’’
গত কাল নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের নাম করে সন্ত্রাসবাদের প্রশ্নে তীব্র আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছে জয়শঙ্করকে। তিনি জানান, সন্ত্রাসবাদও অনেকটা করোনাভাইরাসের মতো। সকলে ভাল না থাকলে, নিজে ভাল থাকা যাবে না। বাইডেন প্রশাসন যে ভাবে তাড়াহুড়ো করে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়, তাতে ক্ষুব্ধ ভারত। এর আগে বিভিন্ন দৌত্যে নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে ওয়াশিংটনকে অনুরোধ করা হয়েছিল, আরও কিছুটা সময় নিয়ে, শান্তিচুক্তি পাকাপোক্ত হওয়ার পরে সেনা ফেরানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করতে।
কূটনৈতিক শিবিরের মতে, এখন পরিস্থিতি আর আমেরিকার হাতে নেই। তাদেরও নির্দিষ্ট স্বার্থ, তালিবান যেন কোনও ভাবেই আমেরিকার উপরে হামলা না করে। সে কাজে পাকিস্তানকেও হাতে রাখা জরুরি ওয়াশিংটনের। এই পরিস্থিতিতে আজ জয়শঙ্কর এবং ব্লিঙ্কেনের ‘ধারাবাহিক সমন্বয়’ শেষ পর্যন্ত ভারতের নিরাপত্তার প্রশ্নে কত দূর লাভজনক, সেই প্রশ্ন তুলছে কূটনৈতিক শিবির।