সুষমা স্বরাজের সঙ্গে এস জয়শঙ্করের মিল খুঁজে পেয়েছেন অনেকে।—ফাইল চিত্র।
বিদেশমন্ত্রকের দায়িত্ব হাতে পেয়েছেন শুক্রবার। তার মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো সক্রিয় হয়ে উঠলেন এস জয়শঙ্কর। গত দু’দিনে নানা সমস্যা নিয়ে টুইটারে তাঁর দ্বারস্থ হয়েছেন সাধারণ মানুষ। চটজলদি জবাবও পেয়েছেন তাঁরা। টুইটারে বিদেশমন্ত্রীর এমন তত্পরতায়, পূর্বসূরী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে তাঁর মিল খুঁজে পেয়েছেন অনেকে।
কর্মসূত্রে কুয়েতে বসবাসকারী স্বামীর কোনও খোঁজ পাচ্ছেন না বলে গত ১ জুন জয়শঙ্কর, স্মৃতি ইরানি এবং নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপ চান এক মহিলা। তিনি জানান, শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে বাড়িতে থাকতে দিচ্ছেন না। চেষ্টা করেও কুয়েতে স্বামীর কোনও খোঁজ পাচ্ছেন না তিনি। অবিলম্বে তাঁকে দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হোক।
বিদেশ মন্ত্রকের সায় না মেলায় কুয়েত দূতাবাসে দীর্ঘদিন ধরে বিষয়টি ঝুলছে বলেও জানান ওই মহিলা। উত্তরে তাঁকে জয়শঙ্কর লেখেন, ‘কুয়েতে আমাদের দূতাবাস ইতিমধ্যেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে। আপনি সেখানে যোগাযোগ করুন।’
আরও পড়ুন: টুইটার অ্যাকাউন্ট ডিলিট করলেন কংগ্রেস মুখপাত্র দিব্যা স্পন্দনা, দলবদলের ইঙ্গিত?
ছুটি কাটাতে গিয়ে ইতালিতে পাসপোর্ট চুরি হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেন মহালক্ষ্মী নামের অন্য আর এক মহিলা। তিনি জানান,‘পরিবারেরলোকজন মিলে জার্মানি ও ইতালি বেড়াতে এসেছিলাম। কিন্তু ব্যাগ সুদ্ধ স্বামী, ছেলে এবং আমার পাসপোর্ট চুরি হয়ে গিয়েছে। সাহায্য করুন।’ ওই মহিলার উদ্দেশে জয়শঙ্কর লেখেন, ‘রোমে আমাদের দূতাবাস এবং মিউনিখে আমাদের কনসাল জেনারেল আপনাদের সবরকম সাহায্য করবে। অবিলম্বে সেখানে যোগাযোগ করুন।’
বিদেশ-বিভুঁইয়ে বিপদে পড়লে এতদিন টুইটারে সুষমা স্বরাজের দ্বারস্থ হতেন সাধারণ মানুষ। প্রাক্তনবিদেশমন্ত্রীকে নিজেদের সমস্যার কথা জানিয়ে চটজলদি জবাবও পেতেন। একই ভাবে জয়শঙ্করকে সকলের সাহায্যে এগিয়ে আসতে দেখে তাই সুষমা স্বরাজের সঙ্গে তাঁর মিল খুঁজে পেয়েছেন নেটিজেনরা।
যদিও পূর্বসূরীর পদাঙ্ক অনুসরণ করবেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। বিদেশমন্ত্রীর হিসাবে দায়িত্ব বুঝে নিয়ে শনিবার প্রথম টুইটে তিনি লেখেন, ‘আমার প্রথম টুইট। শুভেচ্ছার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। এই দায়িত্ব পেয়ে সম্মানিত বোধ করছি। গর্ব বোধ অনুভব করছি সুষমা স্বরাজজির পদাঙ্ক অনুসরণ করতে পেরে।’’
আরও পড়ুন: ইসলামাবাদে ভারতীয় হাইকমিশনের অনুষ্ঠানে অতিথিদের ঢুকতেই দিলেন না পাক কর্তারা!
১৯৭৭ ব্যাচের আইএফএস (ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিস) অফিসারকে বিদেশমন্ত্রী নিয়োগ করে সম্প্রতি সকলকে চমকে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর আগে বিদেশসচিব এবং রাষ্ট্রদূত হিসাবেও কাজ করেছেন তিনি।