পশ্চিমি বিশ্বকে তোপ জয়শঙ্করের। ফাইল চিত্র।
নাম না করেই ইউরোপ এবং আমেরিকার কঠোর সমালোচনা করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। রাহুল গান্ধীর লোকসভার সদস্যপদ খারিজ হয়ে যাওয়ার পর ইউরোপের বেশ কিছু দেশ, এমনকি আমেরিকাও এই বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। তবে সরাসরি ভারত সরকারের সমালোচনা করেনি কেউই। এই প্রসঙ্গে জয়শঙ্করের বক্তব্য, “সত্য কথা বললে বলতে হয়, পশ্চিমি বিশ্বের একটা বদভ্যাস আছে। তারা মনে করে অন্যদের বিষয়ে মন্তব্য করার ক্ষেত্রে তাদের ঈশ্বরপ্রদত্ত অধিকার রয়েছে।”
অতীতেও দেশে সংখ্যালঘুদের উপর পীড়ন কিংবা সংবাদমাধ্যমের উপর আক্রমণ নিয়ে সরব হয়েছে পশ্চিমি বিশ্বের একাংশ। প্রতিবারই ভারত অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে সমালোচনাগুলি এড়িয়ে গিয়েছে। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং সীমান্তে চিনের আগ্রাসন নিয়ে ভারতের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক বাড়ানোর দিকে যখন এগোচ্ছে পশ্চিমি বিশ্ব, তখন জয়শঙ্করের এই বক্তব্যকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক অতীতে সরাসরি পশ্চিমি বিশ্বকে এ ভাবে আক্রমণ করতে দেখা যায়নি বিদেশমন্ত্রী কিংবা সরকারের উপরমহলের কাউকে।
পশ্চিমি বিশ্বকে সরাসরি আক্রমণ করে জয়শঙ্কর জানান, অন্য দেশের বিষয়ে নাক গলালেও নিজেদের দেশ সম্পর্কে অন্য কেউ মন্তব্য করুক, সেটা পশ্চিমি বিশ্ব ভাল ভাবে নেয় না। লন্ডনে রাহুল গান্ধীর ‘গণতন্ত্রের সঙ্কট’ নিয়ে বক্তব্য রাখার পরেই কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে সরব হয় বিজেপি। রাহুল বিদেশের মাটিতে দেশকে খারাপ ভাবে তুলে ধরছেন, এমন অভিযোগও তোলা হয়। কংগ্রেস নেতা অবশ্য সেই অভিযোগ অস্বীকার করেন। মোদী পদবি নিয়ে রাহুলের বক্তব্যের জেরে লোকসভার সদস্যপদ খারিজ হওয়ার পরেও পশ্চিমের বেশ কিছু দেশ এমন কিছু মন্তব্য করে, যা সরকারপক্ষ ভাল ভাবে নেয়নি।