সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারানোর পরে উল্লাস রাজস্থান রয়্যালসের ক্রিকেটারদের। ছবি: আইপিএল
প্রথম ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে গুঁড়িয়ে দিল রাজস্থান রয়্যালস। ব্যাটিং-বোলিং, সব ক্ষেত্রে দক্ষিণের দলকে টেক্কা দিল তারা। প্রথমে ব্যাট করে তিন ব্যাটারের অর্ধশতরানে ভর করে ২০৩ রান করল তারা। পরে বোলারদের দাপটে হায়দরাবাদকে ১৩১ রানে আটকে দিলেন সঞ্জু স্যামসনরা। হায়দরাবাদের মাঠে গিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ৭২ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতল রাজস্থান।
গত বার যেখানে শেষ করেছিলেন এ বার সেখান থেকেই শুরু করলেন জস বাটলার। আইপিএলে আবার তাঁর বিধ্বংসী রূপ দেখা গেল। শুধু তিনি নয়, যশস্বী জয়সওয়াল, সঞ্জু স্যামসনরাও ঝোড়ো ইনিংস খেললেন। টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমেছিল রাজস্থান। দলের দুই ওপেনার বাটলার ও যশস্বী অবশ্য বেশি সময় নষ্ট করলেন না। প্রথম ওভার থেকেই হাত খুলে মারা শুরু করলেন তাঁরা। দুই ব্যাটারই সমান আক্রমণাত্মক খেলছিলেন। হায়দরাবাদের কোনও বোলারকেই থিতু হতে দিচ্ছিলেন না তাঁরা।
পাওয়ার প্লে কাজে লাগিয়ে বড় রান করছিলেন রাজস্থানের দুই ব্যাটার। মাত্র ২০ বলে নিজের অর্ধশতরান করেন বাটলার। দেখে মনে হচ্ছিল, এ বারও হয়তো শতরান দিয়ে শুরু করবেন তিনি। কিন্তু পাওয়ার প্লে-র শেষ ওভারে ফজলহক ফারুকির বলে বোল্ড হন বাটলার। ২২ বলে ৫৪ রান করেন তিনি।
অপর ওপেনার যশস্বীও অর্ধশতরান করেন। তাঁকে সঙ্গে দেন অধিনায়ক সঞ্জু। দলের রানকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা। হায়দরাবাদকে আবার ম্যাচে ফেরান ফারুকি। ৫৪ রানের মাথায় যশস্বীকে আউট করেন তিনি। দেবদত্ত পড়িক্কল রান পাননি। উমরান মালিকের ১৪৯ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে করা বলে বোল্ড হন তিনি।
দলের রানকে টেনে নিয়ে যান অধিনায়ক সঞ্জু। তিনিও অর্ধশতরান করেন। তবে শুরুটা যে ভাবে করেছিল, শেষটা সে ভাবে করতে পারেনি রাজস্থান। ৫৫ রানের মাথায় আউট হন সঞ্জু। শেষ দিকে পর পর কয়েকটি উইকেট পড়ে যাওয়ায় অন্তত ২০ রান কম হয় রাজস্থানের।
২০৩ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করা সহজ ছিল না। তাকে আরও কঠিন করে দিলেন ট্রেন্ট বোল্ট। রাজস্থানের এই বাঁ হাতি পেসার নিজের প্রথম ওভারেই জোড়া উইকেট তুলে নিলেন। সেই শুরু। সেখান থেকে আর ম্যাচে ফিরতে পারল না হায়দরাবাদ।
একমাত্র মায়াঙ্ক আগরওয়াল ছাড়া কেউ দাঁড়াতে পারেননি। পেসারদের পরে যুজবেন্দ্র চহাল ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনের স্পিন আক্রমণের সামনে সমস্যায় পড়েন হায়দরাবাদের ব্যাটাররা। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত ১৩১ রানে শেষ হয় তাদের ইনিংস। রাজস্থানের হয়ে চহাল ৪ ও বোল্ট ২ উইকেট নেন।