ফের টেলিফোনে কথা জ়েলেনস্কি-মোদীর। ফাইল চিত্র।
ইউক্রেনে যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির সঙ্গে ফের ফোনে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় সূত্রে জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রপুঞ্জের নীতি মেনেই ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি নয়াদিল্লি দায়বদ্ধ থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মোদী। পাশাপাশি জানিয়েছেন, ভারত আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধ বন্ধের পক্ষে।
ইউক্রেনের ডনেৎস্ক, লুহানস্ক, জ়াপোরিজিয়া ও খেরসনে তথাকথিত গণভোটের আয়োজনের পরে শুক্রবার ওই চারটি অঞ্চলকে আনুষ্ঠানিক ভাবে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করার কথা ঘোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেনের জমি দখলের এই রুশ তৎপরতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপুঞ্জে আমেরিকা-সহ পশ্চিমী দেশগুলি প্রস্তাব আনলেও ভারতে সেই ভোটাভুটিতে অংশ নেয়নি। এই পরিস্থিতিতে ‘ইউক্রনের অখণ্ডতা’ নিয়ে জ়েলেনস্কিকে মোদীর ‘বার্তা’ তাৎপর্যপূর্ণ বলে কূটনীতিকদের একাংশ মনে করছেন।
যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের পরমাণু চুল্লিগুলির নিরাপত্তা নিয়েও জ়েলেনস্কির কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মোদী। তিনি বলেছেন, ‘‘পরমাণু কেন্দ্রগুলি বিপন্ন হলে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের উপর সুদূরপ্রসারী এবং ক্ষতিকারক প্রভাব পড়তে পারে।’’ প্রসঙ্গত, গত ২৪ অগস্ট পুতিন-বাহিনীর ইউক্রেনে অভিযান শুরুর দু’দিন পর টেলিফোনে মোদীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন জ়েলেনস্কি। এর পরেও দুই রাষ্ট্রনেতার একাধিক বার ফোনে কথা হয়েছে।
প্রাথমিক ভাবে রাষ্ট্রপুঞ্জ-সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে যুযুধান দু’তরফের থেকেই দূরত্ব বজায় রেখেছিল নয়াদিল্লি। তবে এর পর গত অগস্টে ইউক্রেনে রুশ হামলার নিন্দা করে রাষ্ট্রপুঞ্জ নিরাপত্তা পরিষদে আনা প্রস্তাব সমর্থন করে ভারত। তার আগে আন্তর্জাতিক আদালতে ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান নিয়ে উদ্বেগ এবং আশঙ্কা প্রকাশ করে গৃহীত প্রস্তাব ভারত সমর্থন করেছিল। সেপ্টেম্বরে উজবেকিস্তানে শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর বৈঠকের ফাঁকে পুতিনের সঙ্গে পার্শ্ববৈঠকে মোদী বলেছিলেন, ‘‘এটা যুদ্ধের সময় নয়।’’