অরুণ কুমার। —ফাইল চিত্র।
উত্তরপ্রদেশের ভোটের আগে আরএসএসের সঙ্গে বিজেপির সমন্বয়ের দায়িত্বে কৃষ্ণ গোপালের পরিবর্তে সংগঠনের সহ-সরকার্যবাহ অরুণ কুমারকে নিয়ে আসা হল।
এত দিন আরএসএসের কৃষ্ণ গোপাল সঙ্ঘের সঙ্গে বিজেপির সমন্বয়ের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। সামনেই উত্তরপ্রদেশের ভোট। আরএসএস ইতিমধ্যেই যোগী সরকারের বিরুদ্ধে অসন্তোষ দূর করতে উত্তরপ্রদেশে সক্রিয়। রামমন্দিরের জমি কেনাবেচায় কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠার পরেও কৃষ্ণ গোপালকে অযোধ্যায় পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু বয়সজনিত কারণেই তাঁর পরিবর্তে অরুণ কুমারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
কে এই অরুণ কুমার?
দ্বিতীয় মোদী সরকার ক্ষমতায় এসে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ও সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ তুলে দেওয়ার পরে অরুণ কুমার এ বিষয়ে ‘ইতিবাচক প্রচার’ গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। তাঁর মাধ্যমে বিজেপি দেশের ১০ হাজার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির কাছে পৌঁছনোর অভিযান শুরু করেছিল। তার
লক্ষ্য ছিল, সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ ও জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সম্পর্কে ‘ভুল ধারণা’ দূর করা। অরুণ সে সময়ে একটি রিপোর্ট তৈরি করেন। ৩৭০ অনুচ্ছেদের ফলে কাশ্মীরের কী ভাবে লাভের বদলে ক্ষতি
হচ্ছে, সেটা তুলে ধরাই ছিল ওই রিপোর্টের উদ্দেশ্য।
মধ্যপ্রদেশের চিত্রকূটে আরএসএসের বার্ষিক অখিল ভারতীয় প্রান্ত প্রচারক বৈঠক চলছে। সেখানেই কৃষ্ণ গোপালের পরিবর্তে অরুণ কুমারকে দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ভোটে ধাক্কা ও সামনে উত্তরপ্রদেশের গুরুত্বপূর্ণ ভোটের কথা মাথায় রেখে আরএসএস থেকে বিজেপিতে দু’একজনকে পাঠানো হতে পারে বলেও মনে করছেন ওয়াকিবহাল নেতারা। প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত দত্তাত্রেয় হোসাবালে আরএসএসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদ সরকার্যবাহর পদে বসার পরে মোদী সরকার, বিজেপি ও আরএসএসের মধ্যে সমন্বয় আরও মসৃণ হবে বলে বিজেপি নেতাদের মত। অরুণ কুমার বিজেপি-আরএসএস সমন্বয়ের দায়িত্বে নিয়ে আসাও
সেই লক্ষ্যেই।
পাশাপাশি কোভিডের সম্ভাব্য তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলা করতে গোটা দেশজুড়ে কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করতে চলেছে আরএসএস তথা সঙ্ঘ পরিবার। জানানো হয়েছে, দেশের আড়াই লক্ষ এলাকায় এই কর্মীরা পৌঁছে যাবেন। মোট ২৭,১৬৬টি শাখা মাঠে নামতে চলেছে। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ে বিজেপি, আরএসএস কর্মীদের তেমন ভাবে মাঠে নামতে দেখা যায়নি। তৃতীয় ঢেউ এলে সেই খামতি মেটাতে চাইছে আরএসএস।