মোহন ভাগবত। ফাইল চিত্র।
আগামী ২০২৫ সালে একশো বছর পূর্তি হবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের। তার আগে গোটা দেশে সংগঠনের শাখা কেন্দ্রের সংখ্যা এক লক্ষ ছোঁয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করল আরএসএস। পাশাপাশি আগামী দিনে মহিলাদের জন্য আলাদা শাখা কেন্দ্র খোলার বিষয়েও ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন আরএসএসের যৌথ সাধারণ সম্পাদক মনমোহন বৈদ্য।
আজ থেকে হরিয়ানার পাণিপথে শুরু হয়েছে আরএসএসের তিন দিনের অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা। উপস্থিত রয়েছেন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত-সহ সংগঠনের অন্যান্য পদাধিকারী। গত এক বছরে দেশের যে বিশিষ্ট নাগরিকেরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের অনুষ্ঠানের শুরুতে সম্মান জানানো হয়। তাতে যেমন নরেন্দ্র মোদীর মা হীরাবেন মোদী, আইনজীবী শান্তিভূষণ, সঙ্গীতশিল্পী বাণী জয়রাম ছিলেন তেমনই সমাজবাদী পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মুলায়ম সিংহ যাদবকেও স্মরণ করা হয়। রাজনৈতিক ভাবে ওই পদক্ষেপ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ ১৯৯০ সালে রাম মন্দির আন্দোলনের সময়ে উন্মত্ত করসেবকদের থামাতে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মুলায়ম সিংহ যাদব গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে বহু বার তাঁকে নিশানা করেছেন সঙ্ঘ ও বিজেপি নেতৃত্ব। সেই বিজেপি গত জানুয়ারিতে মুলায়মের মৃত্যুর পরে তাঁকে পদ্মবিভূষণ সম্মান দেয়। আর আজ সঙ্ঘের মঞ্চ থেকে জাতীয় রাজনীতিতে মুলায়মের আবদানের জন্য তাঁকে স্মরণ করেন সঙ্ঘ নেতারা। রাজনীতির অনেকের মতে, উত্তরপ্রদেশের যাদব এবং ওবিসি ভোট যাতে বিজেপির ছাতার তলায় আসে, সেই লক্ষ্যেই মুলায়মকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার কৌশল নিয়েছে বিজেপি তথা সঙ্ঘ পরিবার।
আজ সঙ্ঘের সাংবাদিক সম্মেলনে বৈদ্য জানান, করোনা কালে শাখা কেন্দ্রের সংখ্যা কিছু কমে গিয়েছিল। কিন্তু গত দু’বছরে দেশে প্রায় কুড়ি শতাংশ শাখা কেন্দ্র বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে দেশে ৬৮,৬৫১টি শাখা কেন্দ্র। যে সংখ্যা বাড়িয়ে ২০২৫ সালের মধ্যে এক লক্ষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। সংগঠন সূত্রে বলা হয়েছে, মহিলাদের আরও বেশি করে শাখায় অন্তর্ভুক্ত করার কথা ভাবা হয়েছে। তাঁদের জন্য আলাদা শাখা কেন্দ্র খোলা হতে চলেছে।
তিন দিন ধরে চলা ওই বৈঠকে এ বছর হতে চলা ছয় রাজ্যের বিধানসভা ও আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনের রণকৌশল কী হবে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। সঙ্ঘ পরিবারের ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা ও জাতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষ।