ছবি: পিটিআই।
বাম মনোভাবাপন্ন বিশিষ্ট জনেদের কারণে দেশের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পঠনপাঠনের পরিবেশ নষ্ট বা দূযিত হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন ২০৮ জন শিক্ষাবিদ। এঁদের অধিকাংশই সঙ্ঘ-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। রয়েছেন একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও।
নয়া নাগরিকত্ব আইন থেকে জামিয়া-জেএনইউ বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা ও নরেন্দ্র মোদী সরকারের নীতির বিরুদ্ধে সরব সরকার-বিরোধী শিক্ষাবিদদের একাংশ। অমর্ত্য সেন, অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বিদেশে বসবাসকারী অনেক শিক্ষাবিদও মুখ খুলেছেন। এ দিকে আজ ২০৮ জন শিক্ষাবিদ আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া, জেএনইউ থেকে যাদবপুরে সংঘর্ষের পিছনে বামপন্থী রাজনৈতিক মতাদর্শকে দায়ী করে চিঠি লিখলেন। তাঁরা লিখেছেন, ‘‘আমরা হতাশার সঙ্গে দেখছি যে ছাত্র রাজনীতির নামে ধ্বংসাত্মক অতি-বাম চিন্তার প্রচার চালানো হচ্ছে। বাম মনোভাবাপন্নদের চাপানো ‘সেন্সরশিপ’-এর কারণে প্রকাশ্যে মুখ খোলা বা মতামত রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে।’’ তাঁদের মতে, এর শিকার মূলত প্রান্তিক সমাজের পড়ুয়ারা। বাম রাজনীতির প্রভাবে এঁরা বিকল্প রাজনীতি বা নিজস্ব চিন্তা প্রকাশ করার সুযোগ হারাচ্ছেন। তাই বহুত্ববাদের স্বার্থে সমস্ত গণতান্ত্রিক শক্তিকে এগিয়ে আসতে অনুরোধ করেছেন ওই সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ শিক্ষাবিদেরা।
আরও পড়ুন: মাথা কাটা নিয়ে কেন চুপ মোদী, প্রশ্ন কংগ্রেসের