—প্রতীকী ছবি।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ভারতে ই-কমার্স সংস্থাগুলির জন্য নতুন নিয়ম চালু হওয়ার কথা। সেই সময়সীমা পিছনোর জন্য মার্কিন চাপের কাছে পিছু না হঠতে কেন্দ্রকে আর্জি জানাল আরএসএসের সংগঠন স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি পাঠিয়েছেন মঞ্চের সহ-আহ্বায়ক অশ্বিনী মহাজন।
যে সমস্ত ই-কমার্স সংস্থায় বিদেশি লগ্নি রয়েছে, ডিসেম্বরের শেষে তাদের ক্ষেত্রে বিধির কড়াকড়ি করার কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এতে সবচেয়ে বেশি ধাক্কা খাবে ওয়ালমার্ট (গত বছরই ফ্লিপকার্টের ৭৭% কিনেছে যারা), অ্যামাজনের মতো মার্কিন সংস্থা। যে কারণে চলতি মাসের শুরুতেই সংস্থাগুলির স্বার্থ রক্ষার জন্য ভারতকে আর্জি জানিয়েছেন মার্কিন প্রশাসনের কর্তারা। দুই সংস্থাও সময়সীমা পিছনোর আবেদন করেছে। কিন্তু কোনও ক্ষেত্রেই প্রতিশ্রুতি দেয়নি ভারত।
এই অবস্থায় মহাজনের দাবি, মার্কিন চাপের মুখে পিছু হঠলে প্রায় ১৩ কোটি ছোট ব্যবসায়ী, উদ্যোগপতি ও তাঁদের কর্মীরা সমস্যায় পড়বেন। সুবিধা পাবে অ্যামাজন ও ওয়ালমার্ট। তাই কেন্দ্রের উচিত নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকা। যদিও বাণিজ্য মন্ত্রকের কর্তাদেরই মতে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে ছোট-মাঝারি ব্যবসায়ীদের মন জয়ই এখন মোদী সরকারের লক্ষ্য। ফলে এখনই এই সিদ্ধান্ত পিছনো কঠিন হবে কেন্দ্রের পক্ষে।
আরও পড়ুন: ‘রাম জন্মভূমি মামলা ২৪ ঘণ্টায় মিটিয়ে দেব’, সুপ্রিম কোর্টকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন যোগী
উল্লেখ্য, নতুন নিয়মে যে সমস্ত বিক্রেতা সংস্থায় ই-কমার্স সংস্থাগুলির অংশীদারি বা মজুতে নিয়ন্ত্রণ রয়েছে, সেই সব সংস্থার পণ্য বিক্রি করতে পারবে না তারা। ক্রেতাদের ক্যাশব্যাক দেওয়ার ক্ষেত্রেও মানতে হবে প্রতিযোগিতার শর্ত। একচেটিয়া ভাবে কোনও পণ্য বিক্রির ব্যাপারেও চুক্তিবদ্ধ হওয়া যাবে না।