গর্ভবতী মায়েদের কাছে পাঠ করা হোক রামায়ণের শ্লোক এবং স্তোত্র। প্রতীকী চিত্র।
ভ্রুণ থেকেই শিশুকে ভারতীয় সংস্কৃতির শিক্ষা দিতে চায় আরএসএস তথা রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ। এই মর্মে দেশের চিকিৎসকদের প্রতিনিধিদের ডেকে পরামর্শও দিল তারা। বলল, মায়ের গর্ভে থাকাকালীনই ভ্রুণকে গীতা পাঠ করে শোনানো হোক। গর্ভবতী মায়েদের কাছে পাঠ করা হোক রামায়ণের শ্লোক এবং স্তোত্র। তা হলে গর্ভে থাকাকালীনই শিশুদের নীতিবোধ তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। শুরু হবে তাদের সংস্কৃতিবান হিসাবে গড়ে তোলার প্রক্রিয়াও। আরএসএস প্রতিনিধিরা যখন এই প্রস্তাব দিচ্ছেন, তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন দেশের বিভিন্ন নামী চিকিৎসা সংগঠনের প্রতিনিধিরা। বিশিষ্ট স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞেরা। এমনকি, দিল্লি এমসের গাইনোকলজিস্টও।
সোমবার দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজন করা হয়েছিল ওই আলোচনাসভার। আয়োজক ছিল আরএসএসেরই মহিলা শাখা সম্বর্ধিনী ন্যাস। ‘গর্ভ সংস্কার’ শীর্ষক ওই আলোচনা শিবিরে ন্যাসের জাতীয় সংগঠক সচিব মাধুরী মারাঠে ওই গর্ভ সংস্কারের প্রস্তাব দেন। মাধুরী বলেন, ‘‘গর্ভেই শিশুদের গীতা এবং রামায়ণ থেকে পাঠ করে শোনাতে হবে। মায়েদের যোগাসন অভ্যাস করতে হবে। এই অভ্যাস এবং শ্লোক পাঠ চলবে শিশুর জন্মের পর দু’বছর বয়স পর্যন্ত। এতে শিশুর সংস্কৃতিবোধ এবং নীতিবোধ বাড়বে।
ওই অনুষ্ঠানে গাইনোকলজিস্ট ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আয়ুর্বেদ চিকিৎসকেরা। ন্যাস ওই অনুষ্ঠানে ঘোষণা করেছে খুব শীঘ্রই এই প্রস্তাব নিয়ে দেশের এক হাজার সন্তানসম্ভবা মায়ের কাছে যাবেন তাওরা। পরীক্ষামূলক ভাবে শুরুও করবেন গর্ভাবস্থায় শিক্ষা দেওয়ার প্রক্রিয়াও।