ছবি: সংগৃহীত।
আরএসএস এবং ভারত এখন সমার্থক বলে দাবি করলেন সঙ্ঘ-পরিবারের প্রবীণ নেতা কৃষ্ণ গোপাল।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন রাষ্ট্রপুঞ্জে জনকল্যাণ থেকে জগতের কল্যাণের মতো ভারতের সনাতন উদার ভাবনা তুলে ধরছেন, তখন দেশে আরএসএসের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দাবি, ‘‘আরএসএস এবং ভারত এখন সমার্থক বলেই ইমরান খান আরএসএস-এর উপরেও বিরক্ত। আমরাও তো চেয়েছি, গোটা বিশ্ব আরএসএস এবং ভারতকে একই রকম ভাবে দেখুক। ইমরান সাহেব আমাদের প্রচারই করে দিচ্ছেন। তার জন্য ওঁকে অভিনন্দন।’’
মোদী যে ভাবে রাষ্ট্রপুঞ্জে নিজেকে শান্তি-সদ্ভাবনার ‘বিশ্বগুরু’ হিসেবে তুলে ধরতে চেয়েছেন, তাতে রাজনৈতিক নেতাদের একাংশের মত, তিনি আসলে জওহরলাল নেহরুকে ছাপিয়ে যেতে, নিজেকে গাঁধীর অহিংস নীতির বার্তাবাহক হিসেবে মেলে ধরতে চাইছেন। যিনি প্রথম জীবনে আরএসএস প্রচারক ছিলেন, সেই মোদী নিজেকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে রাষ্ট্রনেতা হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টায় সঙ্ঘের সঙ্গে তাঁর প্রকাশ্য অবস্থানগত দূরত্ব তৈরি করছেন কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
আজই সঙ্ঘের প্রবীণ নেতা রমেশ পাতাঙ্গে নেহরুর প্রশংসা করেছেন। তাঁর মন্তব্য, ‘‘নেহরুর রাজনৈতিক পদক্ষেপ নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে। কিন্তু তাঁর সংবিধান পরিষদ তৈরির পদক্ষেপ প্রশংসনীয়।’’ মোদী থেকে অমিত শাহ— বরাবরই দেশের যে কোনও সমস্যার জন্য নেহরুকে দুষতে অভ্যস্ত। তাই সঙ্ঘ-নেতার এই নেহরু প্রশংসায় কংগ্রেস নেতারা অবাক।
ছত্তীসগঢ়ে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের অবশ্য সাফ কথা, ‘‘যে দিন বিজেপি-আরএসএস গডসে মুর্দাবাদ স্লোগান তুলবে, সে দিন মেনে নেব, ওরা গাঁধীজির আদর্শকে মূল্য দেয়। যে দিন বাড়িতে গডসের মূর্তিকে পুজো করা আরএসএস, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতাদের বিরুদ্ধে মোদী ব্যবস্থা নেবেন, সে দিন মেনে নেব মোদীজি প্রকৃত গাঁধীবাদী হয়েছেন।’’
শুক্রবার রাষ্ট্রপুঞ্জে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আরএসএস ‘হিটলার-মুসোলিনির আদর্শে তৈরি’ বলে আক্রমণ করেছিলেন। মোদীকে আরএসএসের নেতা হিসেবে তুলে ধরে ইমরান বলেছিলেন, আরএসএস ভারত থেকে মুসলিমদের মুছে ফেলার ‘জাতি-শোধন’ তত্ত্বে বিশ্বাস করে।