RSS

BJP: রাজ্য বিজেপিতে বিবাদ মেটানোর পরামর্শ সঙ্ঘের

গোষ্ঠী বিবাদ থামিয়ে দলকে মজবুত করা ও লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতিতে ঝাঁপিয়ে পড়ার পরামর্শ দিলেন সঙ্ঘ নেতৃত্ব।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০২২ ০৭:৪৭
Share:

ফাইল ছবি

পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলে উদ্বিগ্ন সঙ্ঘ পরিবার। বুধবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীর সঙ্গে বৈঠকে অবিলম্বে অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠী বিবাদ থামিয়ে দলকে মজবুত করা ও লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতিতে ঝাঁপিয়ে পড়ার পরামর্শ দিলেন সঙ্ঘ নেতৃত্ব। সূত্রের মতে, ওই বৈঠকে রাজ্য থেকে আসা একাধিক সঙ্ঘ নেতাও রাজ্যের বিজেপি নেতাদের বিবাদমান পরিস্থিতি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সামনে তুলে ধরেন।

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য বিজেপিতে নেতৃত্ব পরিবর্তনের পর থেকেই যে গোষ্ঠী বিবাদ শুরু হয়েছে, তা থামার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মতে, যার ফলে রাজ্যে একাধিক শাসক-বিরোধী ঘটনা ঘটা সত্ত্বেও প্রতিবাদে একজোট হয়ে আন্দোলনে নামতে ব্যর্থ হচ্ছেন সুকান্তেরা। সম্প্রতি রাজ্য সফরে গিয়ে কেন্দ্রীয় সভাপতি জেপি নড্ডা অভ্যন্তরীণ বিবাদ মেটানোর উপরে সবথেকে বেশি জোর দিয়েছিলেন। সূত্রের মতে, বুধবারকের বৈঠকেও সঙ্ঘ ও রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের মধ্যে আরও সমন্বয় বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। জোর দেওয়া হয়েছে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির উপরেও।

দু’বছর পরেই লোকসভা নির্বাচন। সঙ্ঘ সূত্রের মতে, রাজ্যে গত লোকসভার পরে একের পর এক উপনির্বাচন, বিধানসভায় হার অনেকটাই মনোবল ভেঙে দিয়েছে বিজেপি কর্মীদের। রাজ্যের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের বর্তমান পরিস্থিতি একেবারেই জেতার অনুকূলে নয় বলেই মনে করছেন সঙ্ঘ নেতারা। সঙ্ঘ সূত্রের মতে, গত লোকসভা নির্বাচনে যে ভাবে বিজেপি ভাল ফল করেছিল, তার পুনরাবৃত্তির লক্ষ্যে উভয় শিবিরের মধ্যে সুষ্ঠু তালমিল রেখে চলার উপরে বুধবারকের বৈঠকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যে সব পুরনো বিজেপি কর্মীরা বসে গিয়েছেন, তাদের ফের দলে সসম্মানে ফিরিয়ে আনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে শক্তি বৃদ্ধিতে ও সংগঠন গোছাতে চিন্তন শিবির করার কথাও ভাবছেন সঙ্ঘ নেতৃত্ব।

Advertisement

সঙ্ঘ সূত্রের মতে, রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে যে ভাবে তৃণমূলের নেতাদের দলে নেওয়া হয়েছিল তা রাজ্যের মানুষ ভাল ভাবে নেননি। তাই সঙ্ঘ পরিবার চাইছে, আগামী দিনে এমন নেতাদের দলে নেওয়ার ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হোক বিজেপি। অন্য দল থেকে আসা নেতাদের যাতে দলীয় পদে ও দলের কাজে ব্যবহার না করা হয় তার উপরেও জোর দিয়েছে সঙ্ঘ। পরিবর্তে সংগঠনের কাজে সঙ্ঘের উপরে নির্ভরতা বাড়ানোতেই জোর দেওয়া হয়েছে বৈঠকে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement