নীতীশকে মহাজোটে ডাক দিল আরজেডি

বিজেপির সঙ্গে আসন সমঝোতা করে বিহারে লোকসভা ভোট লড়েছে জেডিইউ। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বিজেপির ‘প্রতীকী প্রতিনিধিত্ব’-এর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে সরকারে শামিল হয়নি নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন জেডিইউ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পটনা শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০১৯ ০২:২৭
Share:

ভোটের পর থেকেই বিজেপির সঙ্গে সম্পর্কে টানাপড়েন। এ বার নীতীশকে ফের মহাজোটে শামিল হওয়ার ডাক দিলেন আরজেডি সহ-সভাপতি রঘুবংশপ্রসাদ সিংহ। জেডিইউ শিবির থেকে সাড়া মেলেনি।

Advertisement

বিজেপির সঙ্গে আসন সমঝোতা করে বিহারে লোকসভা ভোট লড়েছে জেডিইউ। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বিজেপির ‘প্রতীকী প্রতিনিধিত্ব’-এর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে সরকারে শামিল হয়নি নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন জেডিইউ। সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে চাইছে আরজেডি। নীতীশ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় না যাওয়ায় বিরোধী মহাজোটের শরিকরা খুশি। তাঁরা ধরেই নিয়েছেন, বিজেপি নেতৃত্বের উপরে নীতীশ ক্ষুব্ধ ও হতাশ। তাই এ বার তাঁকে ফের মহাজোটে ফেরার প্রস্তাব দিয়েছে আরজেডি। রঘুবংশপ্রসাদ বলেন, “এ বার মহাজোটে ফেরার সময় হয়েছে। না হলে নীতীশকে শুধু ‘অপদস্থ’ ও অপমানই করবে বিজেপি।” গতকাল বাড়িতে ইফতার পার্টির আয়োজন করেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম। সেখানে হাজির হন তাঁর ‘ঘোর শত্রু’ নীতীশও। জল্পনা বাড়িয়ে জিতনরাম বলেন, “রাজনীতিতে স্থায়ী শত্রু বা স্থায়ী মিত্র বলে কিছু হয় না।”

২০১৭ সালে মহাজোট ছেড়ে এনডিএতে শামিল হন নীতীশ কুমার। কিন্তু গত দু’বছরে সরকারে থাকলেও তাঁর দলকে মন্ত্রিত্বের প্রস্তাব দেয়নি বিজেপি। নীতীশও এ নিয়ে চুপ করেই ছিলেন। কিন্তু এ বার এনডিএ বিহারে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে। তাই গুঞ্জন ছিল, এ বার নীতীশের দলকে অন্তত দু’টি পূর্ণ মন্ত্রী দেওয়া হবে। কিন্তু বিজেপির সূত্র মেনে তা হয়নি। ফলে নীতীশের ক্ষোভের ‘রাজনৈতিক ফায়দা’ তুলতে সক্রিয় বিরোধী জোট।

Advertisement

আজ সকালে কেন্দ্রীয় পশুপালন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ এক ট্যুইটে এনডিএ-র জোট শরিকদের কটাক্ষ করেন। তাঁর নিশানায় নিজের দলের নেতা তথা উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদীও। গতকাল এলজেপির ইফতার পার্টিতে নীতীশ কুমার ও সুশীল মোদী, দু’জনেই ছিলেন। ছিলেন জোটসঙ্গী রামবিলাস পাশোয়ান ও তাঁর ছেলে চিরাগ পাশোয়ানও। পরনে সাদা কুর্তা, পাজামা, মাথায় টুপি। তাঁদের হাসিমুখে তোলা ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ায়। সেই ছবিকেই বিদ্রূপ করে গিরিরাজের ট্যুইট, “একই রকম উদ্দীপনায় নবরাত্রি পালনের আয়োজন হলে ছবিটা কী সুন্দর হতো! কেন নিজেদের ধর্মীয় বিশ্বাস, আচার-আচরণ উপেক্ষা করে এমন ভান?”

নীতীশ গিরিরাজের সেই কটাক্ষ উড়িয়ে বলেন, ‘‘খবরে থাকার জন্য কেউ কেউ এমন করেন!’’ গিরিরাজকে আক্রমণ করে জেডিইউ মুখপাত্র সঞ্জয় সিংহের বক্তব্য, “গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্যে আরও সহিষ্ণুতা দরকার।” এলজেপি নেতা চিরাগ
বলেন, “সমস্ত ধর্মের উৎসব পালনই আমাদের রীতি।” বিজেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গিরিরাজকে এমন মন্তব্য থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement