ভোটপ্রচারে গিয়ে রামবলী সিংহ চন্দ্রবংশী জানিয়েছেন, ঈশ্বরের মতোই বিহারে মদ সর্বত্র বিরাজমান। — ফাইল ছবি।
বিহারে আদৌ কি মদ নিষিদ্ধকরণ কার্যকর হয়েছে? সেই নিয়ে বার বার প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। নীতীশ কুমারের সরকার তত বারই দাবি করেছে, এই নীতির কারণে রাজ্যবাসীর জীবনযাপন বদলে গিয়েছে। এ বার এই নিয়ে শাসক জোটের শরিক আরজেডি নেতার মন্তব্যে বিতর্ক বাড়ল। ভোটপ্রচারে গিয়ে রামবলী সিংহ চন্দ্রবংশী জানিয়েছেন, ঈশ্বরের মতোই বিহারে মদ সর্বত্র বিরাজমান।
নীতীশ কুমারের সভাস্থল থেকে মদের খালি বোতল উদ্ধার হয়। সেই নিয়েই প্রশ্ন করা হয়েছিল আরজেডির বিধান পারিষদ রামবলীকে। বিহারের কুধনিতে উপনির্বাচনের প্রচার থেকে ফেরার সময় সেই প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বিহারের মানুষ এখনও মদ নিষিদ্ধকরণের জন্য প্রস্তুত নন। এখানেই থামেননি তিনি। মদকে ঈশ্বরের সঙ্গে তুলনা করে বসেন। তাঁর কথায়, ‘‘সারা বিশ্বে ঈশ্বর যে ভাবে বিরাজমান, বিহারে সে ভাবেই রয়েছে মদ। চোখে দেখতে পাওয়া যায় না, কিন্তু সব জায়গাতেই খোঁজ মেলে।’’
বিষমদ খাওয়ার কারণেই বৈশালীতে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে, এ কথা মানতে চাননি রামবলী। জানিয়েছেন, এর সঙ্গে মদ খাওয়ার কোনও যোগ নেই। ভগবানপুরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘এ ধরনের মৃত্যু খুব বড় ঘটনা নয়। তা বলে মদ নিষিদ্ধকরণ ভোটপ্রচারের হাতিয়ার হতে পারে না।’’ তিনি এ-ও জানিয়েছেন, বিহারে সব রাজনৈতিক দল সহমত হওয়ার পরেই মদ নিষিদ্ধ হয়েছিল। তাই এর ব্যর্থতা নিয়ে একা মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে দায়ী করা ঠিক নয়। প্রয়োজনে এই আইন যে রদ হতে পারে, সেই বিষয়েও ইঙ্গিত দেন রামবলী। বলেন, ‘‘সকলের মতামত নিয়ে আইন চালু হলে একই ভাবে তা রদও করা হতে পারে।’’
২০১৫ সালে ভোট প্রচারে নীতীশ মহিলা ভোটারদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় এলে মদ নিষিদ্ধ করবেন। সেই মতো ভোটে জিতে ২০১৬ সালের এপ্রিলে বিহারে মদ নিষিদ্ধ করেন নীতীশ কুমার।