আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ। — ফাইল চিত্র।
আগামী ১৭ ডিসেম্বর বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র পরবর্তী বৈঠক হবে। মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছেন ‘ইন্ডিয়া’র অন্যতম শরিক আরজেডির প্রধান তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ। পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরে জোটের বৈঠক নিয়ে তৃণমূল-সহ কয়েকটি শরিক দলের সঙ্গে কংগ্রেসের টানাপড়েনের আবহে লালুর এই মন্তব্য ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করা হচ্ছে।
হিন্দি বলয়ের তিন রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে বিপর্যয়ের আঁচ মিলতেই গত রবিবার (৩ ডিসেম্বর) তড়িঘড়ি লোকসভা নির্বাচনের রণনীতি ঠিক করতে ‘ইন্ডিয়া’র শরিকদের নিয়ে বৈঠকে সক্রিয় হয়েছিল কংগ্রেস। ৬ ডিসেম্বর বৈঠক করার জন্য শরিক নেতৃত্বকে বার্তা দিয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে।
কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, ওই বৈঠকে তিনি হাজির থাকতে পারবেন না। উত্তরবঙ্গে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। সূত্রের খবর, একই কারণে ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকে হাজির থাকতে পারবেন না বলে জানান, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং সপা-র প্রধান অখিলেশ যাদব এমনকী, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেএমএম নেতা হেমন্ত সোরেনও কংগ্রেসের ডাকা ওই বৈঠকে থাকতে পারবেন না বলে খড়্গেকে জানিয়ে দেন বলে সূত্রের খবর। এই পরিস্থিতিতে ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠক ডেকেও তা বাতিল করতে হয় কংগ্রেসকে। দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়ের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের ‘একলা চলো’ ভূমিকায় মমতা, অখিলেশ, নীতীশ, অরবিন্দ কেজরীওয়ালরা ক্ষুব্ধ। বস্তুত, ইতিমধ্যে মমতা, অখিলেশ সে কথা প্রকাশ্যেও জানিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি বিরোধী জোট রক্ষায় সক্রিয় হয়েছেন লালু।