Haridwar

হরিদ্বারে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে গঙ্গা, জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় আতঙ্ক উত্তরপ্রদেশেও

প্রশাসন সূত্রে খবর, হরিদ্বারে গঙ্গার বিপদসীমা ২৯৩ মিটার। কিন্তু সোমবার রাতে সেই সীমা ছাড়িয়ে ২৯৩.২৫ মিটারে পৌঁছয়। ফলে আবার নতুন করে নিচু এলাকাগুলি প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

হরিদ্বার শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৩ ১৩:৫০
Share:

হরিদ্বারে বিপদসীমা ছাড়াল গঙ্গা। ছবি: সংগৃহীত।

উত্তরাখণ্ডে টানা বৃষ্টির জেরে গঙ্গার জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে জল। হরিদ্বার জেলা প্রশাসনের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, রাজ্যে গত কয়েক দিন ধরে ভারী বৃষ্টির কারণে গঙ্গার জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছিল। সোমবার সেই জলস্তর বিপদসীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। ফলে নতুন করে গঙ্গা তীরবর্তী এলাকাগুলি প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

Advertisement

ওই প্রশাসনিক কর্তা জানিয়েছেন, হরিদ্বারে গঙ্গার বিপদসীমা ২৯৩ মিটার। কিন্তু সোমবার রাত ৯টা নাগাদ সেই সীমা ছাড়িয়ে ২৯৩.২৫ মিটারে পৌঁছয়। ফলে আবার নতুন করে নিচু এলাকাগুলি প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টি আর ধসের জেরে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড। প্রতি দিনই কোনও কোনও রাস্তায় ধস নামছে। একই সঙ্গে নদীগুলির জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় আবার আতঙ্কের প্রহর গুনছেন বাসিন্দারা।

এ মাসের মাঝামাঝি সময়ে প্রবল বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল উত্তরাখণ্ডের বহু জেলায়। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছিল অলকানন্দা, গঙ্গা। অলকানন্দা নদীবাঁধ থেকে জল ছাড়ায় দেবপ্রয়াগ এবং হরিদ্বারে গঙ্গা বিপদসীমা ছাড়িয়ে বহু এলাকা প্লাবিত করে। সেই সময় গঙ্গার জলস্তর বেড়ে ৪৬৩.২০ মিটারে পৌঁছেছিল। যার জেরে গঙ্গা তীরবর্তী সঙ্গম ঘাট, রামকুণ্ড, ধনেশ্বর ঘাট, ফুলারি ঘাট ডুবে গিয়েছিল। অলকানন্দা নদীবাঁধ থেকে ২-৩ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছিল সেই সময়।

Advertisement

পাহাড়ি এলাকায় বৃষ্টি হওয়ায় আবার গঙ্গার জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছে হরিদ্বার জেলা প্রশাসন। তাই নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের ইতিমধ্যেই সতর্ক করা হয়েছে। গঙ্গার জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় উত্তরপ্রদেশেরও বহু এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। রাজ্যের সেচ দফতরের শীর্ষ এক আধিকারিক জানিয়েছেন, হরিদ্বারে গঙ্গা বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে থাকায় উত্তরপ্রদেশের বেশ কিছু জেলা এর কারণে প্রভাবিত হতে পারে। বিশেষ করে বিজনৌর, মুজফফরনগর এবং নিচু এলাকাগুলি প্লাবিত হতে পারে। তবে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। সেই মতো পদক্ষেপ করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement